একদিকে ইদ পালন করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজস্থানে তিন দিন ধরে পরশুরাম জয়ন্তীর উৎসবও চলছে। ধর্মীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বচসা বেধে যায়।
ইদের আগেই দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে উত্তাল রাজস্থানের জোধপুর। জালোরি গেট এলাকায় ধর্মীয় পতাকা উত্তোলকে কেন্দ্র করেই সংঘর্য বেধে যায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। সোমবার রাত থেকেই বিশৃঙ্খলা ছডিয়ে পড়ে। তেমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় ইদের নামাজ পরা হয়ে। রাজস্থানে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তবে এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিরাপদ নয় বলেও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
জোধপুর পুলিশ জানিয়েছে, একদিকে ইদ পালন করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজস্থানে তিন দিন ধরে পরশুরাম জয়ন্তীর উৎসবও চলছে। ধর্মীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বচসা বেধে যায়। সেখান থেকেই শুরু হয় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া গয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়ে, লাঠি চার্জ করে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে যোধপুরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যোধপুর মারওয়াদের জায়গা। এই এলাকা ভালোবাসা ও ভাতৃত্বের প্রতীক। এখানকার মানুষ একে অপরকে সম্মান করে। ঐতিহ্যকে সম্মান করে। তাই তিনি এই এলাকা তথা গোটা রাজ্যে শাস্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য একটি আবেদঘন টুইটও করেছেন তিনি।
দিন কয়ের আগেও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কারণে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজস্থান। সেই সময় শক্ত হাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন অশোক গেহলট। বিজেপি নেতাসহ বাইরের কাউকেই রাজস্থানে ঢুকতে গেওয়া হয়নি। যা নিয়ে বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছিল।
বর্তমানে দেশে এজাতীয় সংঘর্ষগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের বিভাজনের রাজনীতি এই হিংসাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও এজাতীয় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। দিল্লি , গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে একাজাতীয় একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত নীরব রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেকারণে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছে।
ডিজিটাল পেমেন্টের সাফল্য নিয়ে জার্মানিতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের সমালোচনা, যুদ্ধের বিরোধিতা করলেন মোদী
ইদের নামাজে রেড রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বললেন ধর্মের নামে দেশকে টুকরো টুকরো করা চলবে না
মহিলা সংক্রান্ত বিবাদ, তাই কি এক পরিবারের তিন সদস্যকে গলার নলি কেটে খুন