ভাঙলেন না ঐতিহ্য, হিমাচলের লেপচায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন প্রধানমন্ত্রী মোদীর

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী দীপাবলি উদযাপন করতে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। এটি তার নবম দীপাবলি যা তিনি ভারতীয় সেনার সঙ্গে উদযাপন করলেন।

Parna Sengupta | Published : Nov 12, 2023 6:25 AM IST

গত আট বছরের মতো এ বছরও ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সকালে তিনি হিমাচল প্রদেশের লেপচায় পৌঁছেছিলেন সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করতে। টুইটারে এই তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, "হিমাচল প্রদেশের লেপচায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করতে এলাম।" উল্লেখ্য যে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটি তার নবম দীপাবলি।

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী দীপাবলি উদযাপন করতে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। এটি তার নবম দীপাবলি যা তিনি ভারতীয় সেনার সঙ্গে উদযাপন করলেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দিওয়ালির বিশেষ দিনটি তিনি দেশের সেনা বাহিনীর সঙ্গে কাটাতে শুরু করেছিলেন। উৎসবের দিনে পরিবার পরিজনদের ছেড়ে যে সেনা জওয়ানদের সীমান্ত নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মোতায়েন থাকে তাদের সঙ্গেই উৎসবের দিনটি কাটান তিনি। গতবছর প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানের জয়সলমীরের লঙ্গেওয়ালা সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে কাটিয়ে ছিলেন।

 

 

২০১৪ সালে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সিয়াচেনে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে দীপাবলির এই উত্সব উদযাপন করেছিলেন। পরের বছর তিনি ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাফল্যকে সম্মান জানাতে পাঞ্জাবে তিনটি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন। ২০১৬ সালে তিনি চিন সীমান্তের কাছে সৈন্যদের সাথে দেখা করতে হিমাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন এবং সুমদোহতে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ (ITBP), ডোগরা স্কাউটস এবং সেনা কর্মীদের সাথে সময় কাটিয়েছিলেন।

২০১৭ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরে গিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে, তিনি উত্তরাখণ্ডের হারসিলে দিওয়ালি উদযাপন করেছিলেন। এখানে তিনি হঠাৎ সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করেন। ২০১৯ সালে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং ২০২০ সালে তিনি লঙ্গেওয়ালা সীমান্ত পোস্ট পরিদর্শন করেছিলেন।

ভারতীয় সেনা বাহিনী সূত্রে খবর এই পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী এই সফর ওই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানদের মনোবল বাড়িয়ে দেবে। পাশাপাশি জঙ্গি বিরোধী নীতি নিয়ে পাকিস্তানকেও একটি কড়া বার্তা দেওয়া যাবে। কারণ সেনাবাহিনীর জঙ্গি বিরোধী অভিযানে দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব যে পাকিস্তানের পাশে রয়েছে তাও প্রমাণ করা যাবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Read more Articles on
Share this article
click me!