শীর্ষ আদালত এই মামলার জরুরী শুনানি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে যে কর্ণাটক হাইকোর্টকে প্রথমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
হিজাব ইস্যুকে রাজনীতি করে জাতীয় সমস্যা বানাবেন না ( Do not make it a national issue)। দেশ জুড়ে তোলপাড় তোলা হিজাব বিতর্ক (Hijab row) নিয়ে কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। শুক্রবার সিনিয়র আইনজীবী দেবদত্ত কামাতের শুনানির আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই মামলা জাতীয় ইস্যু নয়, তাই এর জরুরি ভিত্তিতে শুনানি (refusing urgent hearing) প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, দেবদত্ত কামাত কর্ণাটকের কলেজ এবং স্কুলগুলিতে হিজাব বিতর্কের বিষয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশে এসএলপি দায়ের করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত এই মামলার জরুরী শুনানি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে যে কর্ণাটক হাইকোর্টকে প্রথমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট কামাতকে আরও বলেছে যে বিষয়টিকে দিল্লিতে না আনতে এবং এটিকে একটি জাতীয় ইস্যু না বানাবার নির্দেশ দিয়েছে। এর উত্তরে দেবদত্ত কামাত জানান, কর্ণাটক হাইকোর্ট একটি অদ্ভুত আদেশ দিয়েছে। কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশে যে কেউ ধর্মীয় পোশাক পরবেন না বা ধর্মীয় পরিচয়ের প্রতীক ব্যবহার করবেন না, যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে দেশে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দেবদত্ত কামাত।
কামাত ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনাকে বলেছিলেন যে আর্টিকল ২৫ দেশের এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কর্ণাটক হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই জরুরী ভিত্তিতে মামলার শুনানি করছে এবং মামলার রায় এখনও আসেনি। মামলার রায়ের ওপর ভিত্তি করে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা এই মামলার শুনানি করবে কিনা।
CJI এই ইস্যুকে বৃহত্তর স্তরে ছড়িয়ে না দেওয়ার জন্যও কামাতকে আবেদন করে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, "একটু ভেবে দেখুন, এই ইস্যুগুলিকে দিল্লিতে নিয়ে আসা কি ঠিক... জাতীয় স্তরে... কিছু ভুল হলে আমরা রক্ষা করব..."
আরও পড়ুন- ‘ইউনিফর্ম শুধু স্কুলে ব্যবহার হত, কলেজে নয়’, হিজাব মামলায় সওয়াল আইনজীবীর
আরও পড়ুন- মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের তারিখে পরিবর্তন, নয়া ঘোষণা কমিশনের
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াইয়ে আপ-বিজেপির, কেমন ছিল ২০১৭ সালের পঞ্জাব বিধানসভার ফল
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা জানান বিষয়টি ভেবে দখবেন তাঁরা। কর্ণাটকের একজন কলেজ ছাত্রী ফাতিমা বুশরা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের আবেদনটি দায়ের করেন। সেই আবেদনই উত্থাপন করেছিলেন কপিল সিবাল। ফাতিমা আবেদনে বলেন হিজাবের উপর বিধিনিষেধের কারণে তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন: "বিষয়টি হাইকোর্ট শুনুক। আজ তিন বিচারপতির বেঞ্চে তা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।" এর প্রেক্ষিতে সিবাল জানান পরীক্ষা আর দুই মাস বাকি। তার আগেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি জবাবে বলেন, "এই পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হঠকারিতা হবে। হাইকোর্ট কোন পথে এগোচ্ছে দেখে নিয়ে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ যদি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের তালিকাভুক্ত হয়, তাহলে হাইকোর্ট বিষয়টি শুনবে না।