বর্তমানে দেশে কয়লা উৎপাদনে ঘাটতি দেখা হিয়েছে। ব্ল্যাকআউট এড়াতে বিদেশ থেকে ১০ শতাংশ কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি রান্নার গ্যাসের দাম আকাশ ছোঁয়া। এরই মধ্যে দেশের মানুষের ওপর নতুন করে পড়তে চলছে মূল্যবৃদ্ধির কোপ। কারণ দেশে কয়লা উৎপাদনে রয়েছে ঘাটতি। আর সেই কারণেই ইউনিট প্রতি কলয়ার দাম ৬০-৭০ পয়সা বাড়তে চলেছে। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমমন্ত্রী আরকে সিং।
বর্তমানে দেশে কয়লা উৎপাদনে ঘাটতি দেখা হিয়েছে। ব্ল্যাকআউট এড়াতে বিদেশ থেকে ১০ শতাংশ কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু দেশীয় বিদ্যুৎ উপাদক সংস্থাগুলির দাবি তাতে বিদ্যৎ উপাদনের খরচ বেড়ে যাবে। আর সেই কারণেই বিদ্যুতের শুল্প বাড়ানোর পথেই হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানিয়েছে দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি এড়াতেই বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন বিদ্যুতেক চাহিদা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। আর বছরের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৫ শতাংশ বেড়েছে। সেই কারণেই বিদ্যুতের শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং জানিয়েছেন, 'আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে ব্ল্যাকআউট এড়াতে ১০ শতাংশ কয়লা আমদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশে কয়লার উৎপাদন যথেষ্ট নয়। আমদানি করা কয়লার দাম টন প্রতি ১৭০০০-১৮০০০ টাকা। দেশীয় কয়লার দাম টন প্রতি ২ হাজার টাকা। এর ফলেই বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি শুক্ল ৬০-৭০ পয়সা বাড়ানো হবে।' ডিভিসির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তৃতা করার সময় এই কথা জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী। তিনি আরও বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বপ্রথম কাজই হল দেশে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো। আর সেই পথেই হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন বিজেপি সরকার নবায়নের ওপর জোর দিচ্ছে। সেইসঙ্গে নতুন নতুন অপ্রচলিত শক্তিগুলিকেও ব্যবহার করার কথা ভাবছে। ২০৩০ সালের মধ্যে যার লক্ষ্যমাত্র ৪১ শতাংশ ধার্য করা হচ্ছে। বর্তমানে মোট যার মোট ক্ষমতা ৪ লক্ষ মেগাওয়াট। তবে তিনি জানিয়েছেন সম্প্রতি কয়লার ঘাটতি পুরণের দন্য ২০-২৫ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে হৃদরোগে আক্রান্ত, প্রাক্তন জাপান প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে
প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গেল গাড়ি, মৃত্যু ৯ জনের- জীবিত অবস্থায় উদ্ধার ১
ছাত্রদের ক্লাসে ফেরাতে ব্যর্থ, অভিমানেই কি বেতনের ২৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চান বিহারের অধ্যাপক