আবারও হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিকম্প, আজ ভোরবেলা কাঁপল মেঘালয়ার তুরা

মেঘালয়ার তুরা বৃহস্পতিবার ভোরবেলা কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে ভূমিকল্পের মাত্রা ছিল ৩.৪। পরপর হিমালয় পার্বত্য এলাকায় ভূমিকম্পের কারণে আতঙ্ক বাড়ছে।

আবারও হিমালয় পার্বত্য উপত্যকায় ভূমিকম্প। এবার কেঁপে উঠল মেঘালয়। বৃহস্পতিবার ভোরবেলা তুরার কাছে ভুমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৪, জানিয়েছেন ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিজমোলজি। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির প্রায় পাঁচ কিলোমিটার নিচে। ন্যাশানাল সিসমোলজি অনুসারে পৃথিবীর পৃষ্ঠের নিতে টেকটোনিক প্লেটের গতিবিধি তুরার ৩৭ কিলোমিটার পূর্ব - উত্তর পূর্বে। সেখানেই এদিন ভোর৩.৪৬ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কারণে হতাহতের কোনও খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ন্যাশানাল সিসমোলজির পক্ষ থেকে টুইট করে জানান হয়েছে ২৪ .১১. ২০২২ ভোরবেলা ৩.৪৬ মিনিটে মেঘায়লের তুরায় ভূমিকম্প হয়।

 

Latest Videos

 

গত ১০ নভেম্বর অরুণাচল প্রদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। ভারতের ন্যাশানাল সিসমোলজি অনুসারে বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমিকম্প হয় অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম সিয়াং জেলায়। মাত্রা ছিল ৫.৭ ম্যাগনিচিউড। ন্যাশানাল সিলমোলজির মতে কম্পনের গভীরতা ছিল মাটির প্রায় ১০ কিলোমিটার নিচে। ন্যাশানাল সিসমোলজি জানিয়েছে, 'আজ সকাল ১০.৩১ মিনিটে অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম সিয়াং-এ ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে।'

বুধবার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভারতীয় প্লেটের ওপর ইউরেশিয়ান প্লেটের নিচে ক্রমাগত শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। এই পরিস্থিতি গত ২০০ বছরে তৈরি হয়নি। বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, উত্তারাখণ্ডের পার্বত্য এলাকা - বিশেষ করে উত্তরকাশী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা সংবেদনশীল এলাকার মধ্যে পড়ছে। বুধবার ভোরে পশ্চিম নেপালে একটি কম্পন অনুভূত হয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল পিথোরাগড়, বাগেশ্বর, আলমোড়া, চম্পাওয়াত, উধম সিং নগর, নৈনিতাল, রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি, তেহরি, পাউরি, হরিদ্বার, উত্তরকাশী এবং দেরাদুন জেলা সহ পার্বত্য এলাকায়।

বিজ্ঞানীদের কথায় ভারতীয় প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলে হিমালয় তৈরি হয়েছিল। সেই থেকেই হিমালয় প্লেটটি ভারতীয় প্লেটের নিচে রয়েছে। ভারতীয় প্লেটটি থ্রাস্টিং সাপেক্ষ। ভারতীয় প্লেটটি নিচে সরে যাওয়ার ফলে স্ট্রেন এনার্জি জমা হচ্ছে। স্টেন এনার্জি ভূমিকল্পের আকারে নির্গত হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। শক্তি সঞ্চয়েতরও একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সেই শক্তি ভূমিকম্পের আকারে বেরিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন হিমালয় এলাকায় গত ১৫০ বছরে চারটি বড় ভূমিকল্প রেকর্ড করা হয়েছে। যরমধ্যে রয়েছে ১৮৯৭ সালে শিলং, ১৯০৫ সালে কাংড়া, ১৯৩৪ সালে বিহার-নেপাল ও ১৯৫০ সালে অসম ভূমিকম্প। তবে হিমালয় এলাকায় প্রতি নিয়ত ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয় বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

Share this article
click me!

Latest Videos

খাদান নিয়ে Dev কে বিশ্রী আক্রমণ রাজের, দেবের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা দিলেন Aritra Dutta Banik
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
Suvendu Adhikari: 'কত বড় জিহাদি, রামনবমীর মিছিলে ঢিল মেরে দেখাও', হুঙ্কার শুভেন্দুর
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ