ফের দুলে উঠল পৃথিবী! ভর দুপুরে কেঁপে উঠল গোটা দিল্লি-এনসিআর,দেখুন সেই মুহুর্তের ভিডিও

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে। বর্তমানে কোথাও থেকে প্রাণহানি বা সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর নেই। দিল্লি-এনসিআর সহ জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায়ও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে।

Parna Sengupta | Published : Jan 11, 2024 10:47 AM IST / Updated: Jan 11 2024, 04:27 PM IST

বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি-এনসিআরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কম্পন অনুভুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। অফিসে কর্মরত লোকজনও তাদের কাজ ফেলে ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন। ন্যাশনাল সিসমোলজি সেন্টারের মতে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.১। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে। বর্তমানে কোথাও থেকে প্রাণহানি বা সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর নেই। দিল্লি-এনসিআর সহ জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায়ও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে।

গতবছর মার্চ মাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয় দিল্লিতে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয় ২.৭। এর কেন্দ্রস্থল ছিল নয়াদিল্লিতে ভূমি থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে। আশেপাশের কিছু এলাকায়ও কম্পন অনুভূত হয়।

কেন ভূমিকম্প হয়?

পৃথিবীর অভ্যন্তরে ৭টি প্লেট রয়েছে, যা ক্রমাগত ঘুরতে থাকে। যে অঞ্চলে এই প্লেটগুলির সংঘর্ষ হয় তাকে ফল্ট লাইন বলে। বারবার সংঘর্ষের কারণে প্লেটের কোণগুলি বেঁকে যায়। যখন খুব বেশি চাপ তৈরি হয়, প্লেটগুলি ভাঙতে শুরু করে। নীচের শক্তি বেরিয়ে আসার রাস্তা খোঁজে ও ভূমিকম্প হয়।

 

 

ভূমিকম্পের কেন্দ্র ও তীব্রতার অর্থ কী জানেন?

প্লেটের নড়াচড়ার কারণে ভূতাত্ত্বিক শক্তি নির্গত হয় তার ঠিক নিচেই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। এই জায়গায় ভূমিকম্পের কম্পন বেশি হয়। কম্পনের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ার সাথে সাথে এর প্রভাব হ্রাস পায়। তবে রিখটার স্কেলে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৪০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কম্পন অনুভূত হয়। তবে এটি সিসমিক ফ্রিকোয়েন্সি ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নগামী কিনা তার উপরও নির্ভর করে। কম্পনের ফ্রিকোয়েন্সি বেশি হলে কম এলাকা প্রভাবিত হবে।

ভূমিকম্পের তীব্রতা কিভাবে পরিমাপ করা হয় এবং মাপার স্কেল কি?

রিখটার স্কেল ব্যবহার করে ভূমিকম্প পরিমাপ করা হয়। একে বলা হয় রিখটার ম্যাগনিচুড টেস্ট স্কেল। রিখটার স্কেলে 1 থেকে 9 পর্যন্ত ভূমিকম্প পরিমাপ করা হয়। ভূমিকম্প মাপা হয় তার কেন্দ্র অর্থাৎ কেন্দ্রস্থল থেকে। ভূমিকম্পের সময় পৃথিবীর ভেতর থেকে নির্গত শক্তির তীব্রতা এটি দ্বারা পরিমাপ করা হয়। এই তীব্রতা ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ধারণ করে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!