করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্ভব। সেই দিশা স্থির করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন।
২০২২ সালে পাঁচটি রাজ্যে(Five states) বিধানসভা নির্বাচন (Assembly elections in 2022) রয়েছে। ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে বিজেপি(BJP) ও কংগ্রেসের (Congress)। বদলে যেতে পারে অনেক নেতার রাজনৈতিক ভাগ্য। ইতিমধ্যেই এই পাঁচটি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে শুরু করেছে। এগুলি হল উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh), উত্তরাখণ্ড( Uttarakhand), পঞ্জাব(Punjab), গোয়া(Goa) এবং মণিপুর(Manipur)।
এদিকে দেশে ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি (COVID-19)। এই অবস্থায় কীভাবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্ভব। সেই দিশা স্থির করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের (health ministry officials) সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। এর আগে, COVID-19-এর নতু ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের জন্য বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট ভারতের নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন এক থেকে দুই মাসের জন্য স্থগিত করার অনুরোধ করেছিল।
আদালত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলির সমাবেশ এবং জনসভা নিষিদ্ধ করার আবেদন জানায়। এদিকে, রবিবার ভারতে ৬৯৮৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে, আরও ১৬২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪,৭৯,৬৮২ হয়েছে। দেশ জুড়ে ওমিক্রনের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত, মোট ১৭টি রাজ্যে ছড়িয়েছে ওমিক্রন।
এদিকে, তেসরা জানুয়ারি, ২০২২ থেকে শুরু হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ। এমনই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহামারি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ওমিক্রন সংক্রমণের চূড়ান্ত রূপ দেখা যাবে। তবে তা মাত্র একমাসই স্থায়ী হবে বলেও অনুমান করছেন তাঁরা। তার আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্র প্রত্যেক নাগরিকের কাছে বুস্টার ডোজ পৌঁছে দিতে চাইছে। তবে তারও আগে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের দিতে চাইছে ভ্যাকসিন।
এক সমীক্ষা পত্রে বলা হয়েছে যে, ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। এরপর তৃতীয় ঢেউ শীর্ষে পৌছবে ৩ ফেব্রুয়ারি। গবেষকরা এই সমীক্ষায় উল্লেখ করেছেন যে, দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে, এবং বিশ্বে যে প্রবণতা শুরু হয়েছে, তা এখানেও চলবে। এর পাশাপাশি গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে কত জন আক্রান্ত হতে পারে, তার সঠিক সংখ্যা অনুমান করা সম্ভব নয়। কারণ এই মডেল সমীক্ষায় জনসংখ্যার করোনা টিকাকরণের তথ্য বিবেচনা করা হয়নি।