Xiaomi-র প্রায় ৫ হজার ৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, EDর নজরে চিনা মোবাইল ফোন সংস্থা

Published : Apr 30, 2022, 05:29 PM IST
Xiaomi-র প্রায় ৫ হজার ৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, EDর নজরে চিনা মোবাইল ফোন সংস্থা

সংক্ষিপ্ত

ইডি-র দাবি Xiaomi  সংস্থার তিনটি বিদেশী সংস্থারকে ৫৫৫১, ২৭ কোটি টাকার সমতুর বৈদিশীক মুদ্রা পাঠিয়েছে। যার মধ্যে একটির হাতে  Xiaomi গ্রুপের মালিকানা রয়েছে। ছদ্মনামেই তারা ভারতের ব্যবসা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি শনিবার জানিয়েছে, Xiaomi টেকনোলজি ইন্ডিয়ার প্রাইভেট লিমিটের প্রায় ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। ১৯৯১ সালের ফরেন্স এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। চিনা স্মার্টফোন সংস্থা Xiaomi গ্রুপের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন একটি সহযোগি সংস্থা। ইডি এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানির দায়ের অবৈধ রেমিট্যান্সের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মতে Xiaomi  ২০১৪ সালে ভারতের তার কার্যক্রম শুরু করেছিল। ২০১৫ সাল থেকেই বেআইনিভাবে  টাকা পাঠাতে শুরু করেছিল। 

ইডি-র দাবি Xiaomi  সংস্থার তিনটি বিদেশী সংস্থারকে ৫৫৫১, ২৭ কোটি টাকার সমতুর বৈদিশীক মুদ্রা পাঠিয়েছে। যার মধ্যে একটির হাতে  Xiaomi গ্রুপের মালিকানা রয়েছে। ছদ্মনামেই তারা ভারতের ব্যবসা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রয়্যালটির নাম করেই এই বিপুল পরিমাণ আর্থ চিনা গ্রুপ সংস্থার নির্দেশে পাঠান হচ্ছে বলেও একটি বিবৃতিতে দাবি করেছে ইডি। 

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য দুটি সম্পূর্কহীন সত্ত্বাকে যে পরিমাণ অর্থ পাঠান হয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ Xiaomi  গ্রুপের মালিকানাধীন সংস্থাকেও পাঠান হয়েছিল।

Xiaomi  হল ভারতের MI ব্র্যান্ডের মোবাইলের মার্দার কনসার্ন। ব্যবসায়ী ও পরিবেশক।  Xiaomi ইন্ডিয়া নামে ভারতের নির্মাতাদের থেকে সম্পূর্ণভাবে তৈরি মোবাইল সেট ও অন্যান্য পণ্য সংগ্রহ করে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগ Xiaomi  ইন্ডিয়া তিনটি বিদেশী সংস্থার কাছ থেকে কোনও পরিষেবা নেয়নি  যাদের সংস্থার পক্ষ থেকে অর্থ পাঠান হয়েছে। 

গ্রুপ সত্তার মধ্যে তৈরি করা বিভিন্ন অসংলগ্ন ডকিমেন্টারি ফ্যাসাডের আড়ালে কোম্পানি রয়্যালটির ছদ্মবেশে এই অর্থ বিদেশে পাচার করেছেয যা FEMA এর তথ্য সরবরাহ করেছিল। চিনের মূল গোষ্ঠীর নির্দেশেই এই র্থ পাঠান হয়েছিল বলেও দাবি করছেন ইডি কর্তারা। 
এটাই প্রথম নয়। এর আগেও চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার। বাতিল করা হয়েছে একাধিক চিনা অ্যাপ। চিনের সঙ্গে চলা ক্রমবর্ধমান বিবাদের জেরে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার কারণে রাতারাতি ৫৯টি চিনা অ্যাপ ব্যান করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে অনেকেই পাপজি ও হোয়াটস অ্যাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের জেনে রাখা দরকার, ব্রেডন গ্রিন নামের এক ব্যক্তি আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। তিনি পাবজি তৈরি করেছিলেন। আর মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুকের মালিকানাধীনে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ,এই দুটি অ্যাপলিকেশনের সঙ্গে চিনের কোনও যোগাযোগ নেই। 

PREV
click me!

Recommended Stories

ই-চালান ইন্টিগ্রেশনে উত্তরপ্রদেশে সড়ক সুরক্ষায় জোর, ১৭ জেলায় শুরু প্রক্রিয়া
রাহুলের সমালোচনা করতেই কংগ্রেসের 'ফোঁস', জিন্না-বিজেপি যোগের কথা বলে মোদীকে 'বিকৃতির মাস্টার' বলল