সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে কমল নাথ, কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে নির্বাচন কমিশন

  • কমল নাথ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ 
  • তারকা প্রচারকের তকমা তিনে জল্পনা তুঙ্গে 
  • নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ার নেই বলে জানানল 
  • কমিশন জানিয়েছে বিধিমেনেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল 

Asianet News Bangla | Published : Nov 2, 2020 10:19 AM IST

মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে এবার স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কিছুটা হলেও ব্যাক ফুটে নির্বাচন কমিশন।  সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক এক্তিয়ার নেই কোনও তারকা প্রচারককে তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার। তাই সেই কারণেই কমলনাথকে তালিকার থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে  সিদ্ধান্তে  নির্বাচন কমিশন নিয়েছে তার ওপর সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্ন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে এই নির্দেশ দিয়েছেন। 
বাবরি মামলার বিচারকের নিরাপত্তার আর্জি খারিজ, সুপ্রিম কোর্ট জানাল নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই ... \

মধ্য প্রদেশের বিধানসভার উপনির্বাচনে একের পর এক আশালীন মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেতা কমল নাথ।এই অভিযোগ তুলে  সরব হয়েছিলেন বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বিজেপি প্রার্থী ইমারতী দেবীর উদ্দেশ্যে আইটেম শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। ইমারতী দেবী আগে কংগ্রেসের টিকিটে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য ছিলেন। কিন্তু জ্যোরিতাদিত্য সিদ্ধিয়ার সঙ্গে তিনিও দলবদল করে বর্তমানে বিজেপি প্রার্থী। অন্য একটি নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কমল নাথ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শিবারাজ সিং চৌহানের উদ্দেশ্যে নৌটঙ্কি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধীরা। তারপরই নির্বাচন কমিশন কমলনাথের কাছ থেকে তারকা প্রচারকের তকমা কেড়ে নেয়। আর তারপরই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন কমল নাথ। তাঁর আইনজীবী ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ বিবেক তানখা। 

করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন পাওয়া যাবে আগামী বছর মাঝামাঝিতে , জানাল ভারত বায়োটেক ...
সোমবার এই মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা কে হবেন, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। তেমনই তারকা প্রচারক কে হবেন , সেই সিদ্ধান্তও নেবে সেই রাজনৈতিক দল। তাই তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে কোনও নাম কেটে ফেলতে পারে না নির্বাচন কমিশনা। পাল্টা কমিশনের যুক্তি ছিল, নির্বাচনী কোড অব কনডাক্ট পালন করেছিল তারা। 

Share this article
click me!