নতুন নির্বাচনী বন্ডের তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকার মধ্যে ২০১৯-২০ সালে বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছিল ২৫৫৫ কোটি টাকা পেয়েছিল লটারি রাজা সান্তিয়াগো মার্টিনের ফিউচার গেমিং-এর থেকে।
নিষিদ্ধ নির্বাচনী বন্ডের আরও একটি তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর রবিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দ্বিতীয়বার তালিকা প্রকাশ করল। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া খামবন্দি তথ্য আরও একবার প্রকাশ্যে এল। এর থেকে জানা যাবে নির্বাচনী বন্ড কারা কিনেছে। বা কোন রাজনৈতিক দলকে কোন সংস্থা কত টাকা অনুদান দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি থেকে প্রাপ্ত তথ্যই তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হেয়েছে। এই তথ্য ২০১৯-২০ সালের বলেও দাবি করা হয়েছে। ১২ এপ্রিলের আগেই এই নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছিল বলেও মনে করছে।
নতুন নির্বাচনী বন্ডের তথ্যঃ
নতুন নির্বাচনী বন্ডের তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকার মধ্যে ২০১৯-২০ সালে বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছিল ২৫৫৫ কোটি টাকা পেয়েছিল লটারি রাজা সান্তিয়াগো মার্টিনের ফিউচার গেমিং-এর থেকে। একই সংস্থা ডিএমকে দিয়েছিল ৫০৯ কোটি টাকা। ডিএমকে-র মোট প্রাপ্ত অর্থ হল ৬৫৬.৫ কোটি টাকা। ফিউচার গেমিং ছাড়াও ডিএমকে-র মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং ১০৫ কোটি, ইন্ডিয়া সিমেন্ট ১৪ কোটি, সান টিভি ১০০ কোটি টাকার বন্ড কিনেছিল ।
যাইহোক নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিজেপি সবথেকে বেশি টাকা সংগ্রহ করেছিল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিল ১৩৯৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মাত্র ১৩৩৪.৩৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। তারপর রয়েছে বিজু জনতা দল, সংগ্রহ করেছিল ৯৪৪.৫ কোটি টাকা। ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও টিডিপি-র প্রাপ্ত অর্থ ৪৪২.৮ কোটি ও ১৮১.৩৫ কোটি টাকা। বিআরএস নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তুলেছে ১৩২২ কোটি টাকা। সমাজবাদী পার্টি তুলেছে ১৪.০৫ কোটি টাকা। অকালি দল এআইডিএমকে ও ন্যাশানাল কনফারেন্সের প্রাপ্ত অর্থ ৭.২৬ ও ৬.০৫ কোটি টাকা ও ৫০ লক্ষ টাকা।
সিপিএম আগেই জানিয়েছিল তারা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করবে না। কিন্তু ওয়েসির দল ও বিএসপিও ঘর ফাঁকা রয়েছে।