সম্প্রতি ছানি অপারেশন করাতে এসে ১১জন ব্যক্তির চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে সরকার।
রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর চক্ষু হাসপাতালে ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর কন্ট্রোল অফ ব্লাইন্ডনেস নামে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মধ্যপ্রদেশের ধর ও ইন্দোর থেকে অন্তত ১৪ জন ব্যক্তি নিজের ছানি অপারেশন করান। তাঁদের মধ্যে ১১ জন ব্যক্তির অপারেশনের পর তাঁদের চোখে জ্বালা-ব্যথা অনুভব করেন, এবং আস্তে আস্তে তাঁরা আর কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না বলেও জানান তাঁরা। অভিযোগকারীর বেশিরভাগেরই বয়স ৫০ থেকে ৮৫-এর মধ্যে।
প্রসঙ্গত ওই ১১জনের বেশিরভাগই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ। ধর এলাকার এক বৃদ্ধ দম্পতি ৬০ বছরের কালা বাই এবং তাঁর স্বামী ৬৫ বছরের কৈলাশ দাস ইন্দোরের ওই চক্ষু হাসপাতাসলে ছানি অপারেশেনের পর বাম চোখের দৃষ্টি সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলেছেন বলে খবর। সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন, জামা-কাপড় সেলাই করে তাঁদের দিন গুজরান হয়। অনেকদিন ধরে বাম চোখে ঝাপসা দেখার কারণে তাঁরা ভেবেছিলেন ছানি অপারেশন করালে এই অবস্থা থেকে খানিকটা হলেও মুক্তি মিলবে। বৃদ্ধ দম্পতির আশঙ্কা তাঁরা যদি আর দৃষ্টি ফিরে না পান তাহলে তাঁদের হয়তো ভিক্ষা করেই দিন কাটাতে হবে!
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালেও ইন্দোরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসা করাতে এসে ১৫ জন রোগীর দৃষ্টি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। আর আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় হাসপাতালের লাইসেন্স-ই বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে এই গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।