করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে জয়েন্ট পরীক্ষা নেওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক ও বিরোধিতা চলছে। আদালত পর্যন্ত গিয়েছে পরীক্ষা পেছনোর আবেদন। এর মধ্যেই মঙ্গলবার ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হল সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষা (জেইই)। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা হবে সকাল ও দুপুর দুই শিফটে।
এদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষা। তার আগে সকাল ৮টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে রিপোর্টিং করতে হয়েছে। পরীক্ষা চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে জেইই-মেইন। গোটা দেশে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লক্ষ ৫৮ হাজার। এ রাজ্য থেকে জেইই-মেইনে বসছেন ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থী। একদিকে করোনা সংক্রমণের ভয়, অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে যানবাহনের সমস্যা -দু’য়ের টানাপোড়েনে পরীক্ষার্থীরা। বাসের উপর ভরসা না করে, অধিকাংশই গাড়িতে করে এসেছেন পরীক্ষা কেন্দ্রে।
জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষার্থীদের যাতে সুবিধে হয়, সেই কথা মাথায় রেখে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। গণ পরিবহণ পেতে যাতে সমস্যা না-হয়, সেই ব্যাপারে দফতর পদক্ষেপ করেছে। সরকারি বাস থাকছেই, পাশাপাশি পরীক্ষার দিনগুলিতে বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি ও অটোরিকশার পরিষেবা নিশ্চিত করতে মালিক সংগঠনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ দফতর। বাস না-পেলে বা অন্য অভিযোগ থাকলে পরিবহণ দফতরের কন্ট্রোল রুমে টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করা যেতে পারে। ফোন নম্বর ১৮০০৩৪৫৫১৯২।
মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার দিন না পিছানোর অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন ১৫০ শিক্ষাবিদ। তাঁদের মত, এই সময়ে পরীক্ষার দিন আবার পিছানো মানে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে আপস করা। তবে পরীক্ষা করার দাবিতে বিরোধীরা জোট বেঁধেছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ ৬ রাজ্য।
তবে সেইসব বিতর্কের মাঝেই শুরু হল সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা জেইই-মেইন। পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। আইআইটিগুলিতে এন্ট্রান্স পরীক্ষা শুরু হল এদিন। মাস্ক ও সোশ্যাল ডিসটেন্সিং রেখেই পরীক্ষার্থীরা হাজির হন পরীক্ষাকেন্দ্রে।
সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখতে জেইই ও নিট এর পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জেইই মেইনের ক্ষেত্রে ৫৭০ থেকে বাড়িয়ে ৬৬০ করা হয়েছে। অন্যদিকে নিট এর কেন্দ্র ২৫৪৬ থেকে বাড়িয়ে ৩৮৪৩টি করে দেওয়া হয়েছে।