৫৩ শতাংশ ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি ভারতীয় মহিলারা রক্তাল্পতার শিকার। এই কারণেও সদ্যজাত শিশুরা দুর্বল স্বাস্থ্য নিয়ে জন্মাচ্ছে। যা সমগ্র দেশের বৃদ্ধির পথেও প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে।
২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (FAO) ‘রিজিওনাল ওভারভিউ অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ২০২৩: স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড ট্রেন্ডস’ রিপোর্ট। সেই তথ্যাদিতে প্রকাশিত হয়েছে যে, ২০২০ সালে পুষ্টিকর আর স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পেত ৭৬.২ শতাংশ ভারতীয় নাগরিক। ২০২১ সালে সেই সংখ্যাটা কিছুটা কমেছে। ২০২১ সালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পেতেন না ৭৪.১৯ শতাংশ ভারতীয়। তবে, ভারতে নতুন জন্ম নেওয়া শিশু এবং মায়েদের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।
-
পাকিস্তানে পুষ্টিকর খাবার খেতে পান না ৮২.২৯ শতাংশ নাগরিক আর বাংলাদেশে পুষ্টিকর খাবার পান না ৬৬.১ শতাংশ মানুষ। শ্রীলঙ্কায় এই পরিমাণটা ৫৫.৫ শতাংশ। রিপোর্টটিতে জানানো হয়েছে যে, খাবার কেনার খরচ ক্রমশ বাড়তে থাকার ফলে মানুষের রোজগারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় থাকছে না। এর দরুন, অগুন্তি মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারছেন না। ‘যদি একই সময়ে খাবারের খরচ বেড়ে যায় আর মানুষের আায় কমে যায়, তাহলে এই ব্যস্তানুপাতিক অসামঞ্জস্যে মারাত্মক খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর ফলস্বরূপ অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হয় আরও অনেক বেশি মানুষকে।
FAO-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, করোনা (Coronavirus) মহামারীর কারণে এই খাদ্যসংকটের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। যার সঙ্গে জুড়েছে আর্থিক সংকটও।
ভারতের ৩১.৭ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর বৃদ্ধি বাধা পেয়েছে। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, অচল প্রবৃদ্ধি আর বিকাশের একটা প্রধানতম কারণ হল সন্তানের মায়ের দুর্বল স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির অভাব। অর্থাৎ, প্রসূতিরা উপযুক্ত পুষ্টিকর খাদ্য পাচ্ছেন না। রাষ্ট্র যদি তা সরবরাহ করতে পারে, মা প্রসূতি মায়েরা যদি উপার্জন করে প্রয়োজনীয় খাবার কিনতে পারেন, তাহলে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ হতে পারে।
আরও একটি মারাত্মক কারণ হল, ৫৩ শতাংশ ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি ভারতীয় মহিলারা রক্তাল্পতার শিকার। এই কারণেও সদ্যজাত শিশুরা দুর্বল স্বাস্থ্য নিয়ে জন্মাচ্ছে। যা সমগ্র দেশের বৃদ্ধির পথেও প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে।