আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ১৮ বছর বয়সী তরুণ জলবায়ু পরিবর্তন বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী গ্রেটা থুনবার্গ। টুইটারে তিনি দুটি বার্তা দিয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। মঙ্গলবার রাতে গ্রেটা প্রথম টুইটটি করেন। সেখানে সিএনএস এর একটি প্রতিবেদন শেয়ার করার পাশাপাশি তিনি ভারতে আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতি তাঁর সমর্থন জানিয়েছিলেন। মার্কিন পপস্টার রিহানা সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃষক আন্দোলন নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের পরেই তিনি কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করেছিলেন।
পরবর্তী সময় আরও একটি টুইট করেন তিনি। ফলোআপ টুইটে একটি টুলকিট শেয়ার করেছেন। সঙ্গে তিনি লিখেছেন সংশ্লিষ্ট টুলকিটটি ভারতীয়রাই দিয়েছে। কেউ যদি আন্দোলনকারী কৃষকদের সাহায্য করতে চায় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি টুলকিটটির সাহায্য নিতে পারে। এই টুইটের বিরুদ্ধেই গ্রেটার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১৫৩ এ ধারা (ধর্ম বর্ণের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচারের অভিযোগ) ও ১২০ বি ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল রাতে তিনি একটি টুলকিট শেয়ার করেছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই তিনি সেটি মুছে ফেলেন। এদিন সকালে আরও একটি নতুন টুলকিট শেয়ার করেন তিনি। যেটিকে তিনি আপডেট টুলকিট বলে চিহ্নিত করেছেন।
অন্যদিকে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের কয়েকটি টুইট মুছে ফেলল টুইটার। ঘৃণা ও বিদ্ধেষ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেই সংশ্লিষ্ট পোস্টগুলি মুছে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে আমরা টুইটারে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যেগুলি আমাদের প্রয়োগের বিকল্পের পরিসীমা অনুসারে টুইটার বিধি সঙ্ঘন করেছিল। এটাই প্রথম নয় এর আগেই কঙ্গনার একাধিক পোস্ট মুছে ফেলেছে টুইটাক। অন্যদিকে বুধবারই রোহিত শর্মার পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে।
জঙ্গি সংগঠন ISIL-K নতুন নেতার নজরে ভারত, একাধিক দেশকে সতর্ক করল রাষ্ট্র সংঘ ...
পপস্টার রিহানার টুইটের পর থেকে ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উত্তাপ বাড়তে থাকে। মার্কিন ও ব্রিটিশ জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন সেলিব্রিটিও বিষয়টির ওপর আলোকপাত করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি জারি করে বিষয়টিতে অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে চিহ্নিত করে বিদেশ মন্ত্রক। তারপরই ভারতীয় সেলিব্রিটিরাও আসরে নামেন। অক্ষয় কুমার থেকে শুরু করে শচিন তেন্ডুলকর পর্যন্ত ভারতীয়দের একতার পক্ষে সওয়াল করেন। তবে আন্তর্জিত মহলে কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হওয়ায় কিছুটা হলেও খুশির হাওয়া ছিল আন্দোলনকারীদের মধ্যে।