এদিন কী বলবেন মোদী? লকডাউনের মেয়াদ কি তবে বাড়াবেন? নাকি অন্য় কোনও জরুরি ঘোষণা? এমনই সব প্রশ্ন নিয়ে সকাল এগারোটা পর্যন্ত গোটা দেশে ছিল টানটান উত্তেজনা। কিন্তু না। রবিবার মন কি বাত-এ এসে এর কোনওটাই করলেন না তিনি। বরং বরাভয় দিয়ে ভরসা জোগালেন তিনি।
শুরুতেই লকডাউনের জন্য় মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন মোদী। সেইসঙ্গে বললেন, এছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ হালকাভাবে নিয়েছিল এই সংক্রমণকে। আর তারই খেসারত দিতে হচ্ছে তাদের। সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন-- সামাজিক দূরত্ব মানেই তো আর মানসিক দূরত্ব নয়। বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাই বলে নিজের মধ্য়ে থেকে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে আর কেউ বাধা দেয়নি।
এদিন সম্ভবত মোদীর সবচেয়ে বড় চমক ছিল দু-জায়গায়। এক, করোনায় আক্রান্ত দু-জনের সঙ্গে ফোনে কথা বলা, যাঁরা এখন সেরে উঠেছেন। আর দুই হল, সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা কাজ করছেন, সেই চিকিৎসকরা, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে মনোবল জোগালেন তিনি। করোনাজয়ী দু-জনের সঙ্গে কথা বললেন মোদী, এক-এক করে। টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে যারপরনাই খুশি দুজনে। প্রথমজন বললেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা, আইসোলেশন ওয়ার্ড মানে কিন্তু জেলখানা নয়। দ্বিতীয়জন বললেন, তিনি তো বটেই, তাঁর পরিবারের বাকিরাও একে-একে আক্রান্ত হন। কিন্তু সবাই এখন সুস্থ। দুজনের উদ্দেশেই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ-- (আপনাদের কথা) সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করুন।
এরপরই দুজন চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মোদী। দিনরাত জেগে কাজ করে যাওয়ার জন্য় দুজনকেই অভিবাদন জানালেন। সেইসঙ্গে বাকি যাঁরা সামনের সারিতে কাজ করছেন, পাড়ার মুদিদোকানি থেকে শুরু করে আইটি কর্মী, যাঁদের জন্য় সচল রয়েছে গোটা দেশ, তাঁদেরককেও অভিনন্দন জানালেন। সতর্ক করে দিয়ে বললেন-- হোম কোয়ারিন্টিনে যাঁরা রয়েছেন, অনেক জায়গায় তাঁদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। এটা কিন্তু কাম্য় নয়।
সবমিলিয়ে-- ভয় নয়, এদিন তাঁর মন কি বাত-এ আগাগোড়া ভরসা জুগিয়ে মোদী বুঝিয়ে দিলেন-- এই যুদ্ধ জয় অসম্ভব কিছু নয়।