করোনা লড়াইয়ে আত্মনির্ভরতার নজির কেন্দ্রের, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের টাকায় ভেন্টিলেটর

Published : Jun 23, 2020, 02:05 PM IST
করোনা লড়াইয়ে আত্মনির্ভরতার নজির কেন্দ্রের, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের টাকায় ভেন্টিলেটর

সংক্ষিপ্ত

 দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি  ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর সরবরাহ সরবরাহ করবে কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানান হয়েছে ইতিমধ্যেই  ১৩৪০ ভেন্টিলেটর সরবরাহর করা হয়েছে


করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে এই দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষের বেশি। বিশ্বে আক্রান্ত দেশগুলির ক্রমতালিকায় ভারতের স্থান চতুর্থ। এই পরিস্থিতিত দাঁড়িয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের স্বাস্থ্য কর্মীরা। করোনা লড়াইয়ে তাঁরা দেশের প্রথম সারির সৈনিক বলে সম্বোধন করেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই সৈনিকদের লড়াই আরও সজহ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রায় ৫০ হাজার ভেন্টিলেটার সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা আক্রান্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে এগুলি সরবরাহ করা হবে বলেও জানান হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। 


দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৫০ হাজার ভেন্টিলেটার তৈরির জন্য পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০০ কোটি টাকা। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে ২৯২৩ টি ভেন্টিলেটার। যার মধ্যে ১৩৪০টি ভেন্টিলেটর ইত্যিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়েছে। আর এই ভেন্টিলেটার সরবরাহ করায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে। কারণ দেশের মধ্যে এই দুটি রাজ্যই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। প্রত্যেকটি রাজ্য়কে ২৭৫টি করে ভেন্টিলেটার সরবরাহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার  মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১লক্ষ ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ হাজারের বেশি। সরকার অনুমদিত কোভিড হাসপাতালগুলিতে এই ভেন্টিলেটার সরবরাহের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। 

দূর্ষিত জলে করোনাভাইরাসের জিন, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের প্রশংসায় বিশ্ব ...

বাকি ৩০ হাজার ভেন্টিলেটার তৈরি হচ্ছে ভারত ইলেকট্রনিক্সে। এজিভিএ হেল্থ কেয়ার তৈরি করছে ২০ হাজার ভেন্টিলেটার, ৩৫০টি ভেন্টিলেটার তৈরি করছে অ্যালয়েড মেডিক্যাল। এএমটিজেড-এর দুটি সংস্থা তৈরি করেছে ৯৬৫০টি ভেন্টিলেটার। 

গালওয়ান সীমান্তের 'যুদ্ধ প্রস্তুতি' সরেজমিনে দেখতে, বায়ুসেনা প্রধানের পর এবার সেনা প্রধানের লে সফর ..

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে ১হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকদের খাবার, থাকার ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রয়োজনী ওষুধ ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা সংকটের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মহারাষ্ট্রকে দেওয়া হয়েছে ১৮১ কোটি টাকা। উত্তর প্রদেশকে ১০৩ কোটি টাকা, তামিলনাড়ুকে দেওয়া হয়েছে ৮৩ কোটি টাকা, গুজরাত ও দিল্লি পেয়েছে ৬৬ ও ৫৫ কোটি টাকা। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম থেকেই দেশের নাগরিকদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিলেন। সেই জন্য তৈরি করেছিলেন পিএম কেয়ার্স ফান্ড। সেই ফান্ডের টাকা থেকেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয় চালাচ্ছে ভারত। 

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: কলকাতায় পা রাখছেন মেসি থেকে শুরু করে শুভেন্দুর নিশানায় মমতা, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
জনগণনা ২০২৭: ৩০ লক্ষ কর্মী, ১১,৭১৮ কোটি টাকা বাজেট, বিশ্বের বৃহত্তম সমীক্ষা