বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে জরুরিকালীন ভিত্তিতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে কোভ্যাক্সিন।
দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে দিওয়ালির আগে ভারত পেল 'দিওয়ালি গিফ্ট' (Diwali Gift)। ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনকে (COVAXIN) অবশেষে স্বীকৃতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, জরুরিকালীন ভিত্তিতে (Emergency Use Listing) ব্যবহার করা যেতে পারে করোনার এই টিকা। আর এই ছাড়পত্র পাওয়ার পর এবার কোভ্যাক্সিন টিকা (Corona Vaccine) প্রাপকদের চিন্তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তাঁরা ভ্রমণ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। অবশ্য বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনও টিকা প্রাপক সেই দেশে প্রবেশ করতে পারবেন কিনা সেটা নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট দেশের উপরে। তবে হু-এর ছাড়পত্র ভারতের ক্ষেত্রে একটি বড় পাওনা।
কোভ্যাক্সিনের আপৎকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্রের বিষয়টি বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আটকে ছিল। সম্প্রতি এই টিকা নিয়ে ভারত বায়োটেকের কাছে অতিরিক্ত ব্যাখ্যা চেয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শোনা গিয়েছিল যে, হু-এর টেকনিকাল কমিটি কোভ্যাক্সিনকে জরুরি কালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিতে পারে। অবশেষে দিওয়ালির ঠিক একদিন আগেই এল সেই সুখবর। অবশেষে ছাড়পত্র পেল কোভ্যাক্সিন।
এদিকে কোভ্যাক্সিন ছাড়পত্র না পাওয়ায় বহু ভারতীয় বিদেশে ভ্রমণ করতে পারছিলেন না । হায়দরাবাদের (Hyderabad) সংস্থা ভারত বায়োটেক করোনার এই টিকা তৈরি করেছে। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল (19 April) এই টিকাকে জরুরিকালীন ব্যবহারের উপর ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু, হু-এর তরফে জানানো হয়েছিল, ছাড়পত্র দেওয়ার আগে সংস্থার থেকে আরও বেশ কিছু নথি প্রয়োজন। সেই নথি দেওয়া না হলে ছাড়পত্র মিলবে না। অবশেষে মিলল সেই সবুজ সংকেত।
আরও পড়ুন- ভোজ্যতেলের দাম কমছে, উৎসবের মধ্যেই স্বস্তির নিঃশ্বাস মধ্যবিত্তির পকেটে
কোভ্যাক্সিনের এই স্বীকৃতির পর ভারতীয়দের জন্য অনেকটা সুবিধা হল বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা (Doctor)। কারণ এতদিন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃত একমাত্র ভারতীয় করোনা টিকা ছিল কোভিশিল্ড (Covishield)। আর এখন তার সঙ্গে যুক্ত হল কোভ্যাক্সিন। এর ফলে যাঁরা বিদেশে যাত্রা করবেন, তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিনের অনুমোদনটা ভীষণভাবে দরকার হয়। এখন থেকে কোভ্যাক্সিন প্রাপকদের দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করতে কিংবা পড়াশোনা করতে কোনও সমস্যা হবে না।
হু-এর তরফে জানানো হয়েছে, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অফ এক্সপার্ট অন ইমিউনাইজেশনও টিকাটি খতিয়ে দেখেছে। তারপর তাদের তরফে এই টিকার দুটি ডোজ নিতে বলা হয়েছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন ১৮ ও তার বেশি বয়সীরা।