দিল্লি, গুজরাত, তেলেঙ্গনার মতো রাজ্যগুলি করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির উপর জোর দিচ্ছে। দিল্লিতে ইতিমধ্যে এই চিকিৎসা পদ্ধতির সুফলও মিলেছে। ভেন্টিলেশনে পাঠান ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু কাজে এল না এই থেরাপি। মারাই গেলেন রাজ্যে প্রথম প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা ব্যক্তি। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি গত বুধবার রাতেই মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
৫৩ বছরের ওই ব্যক্তির উপর মৃত্যুর ৪ দিন আগে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছিল। তিনি সেপটিসেমিয়া এবং তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। করোনা আক্রান্ত ওই রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
রাজধানী দিল্লিসহ ভারতের কয়েক'টি রাজ্যে করোনার চিকিত্সায় প্লাজমা থেরাপি পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়ে গেলেও, কেন্দ্র এখনও এই চিকিত্সা পদ্ধতিকে মান্যতা দিতে নারাজ। করোনাভাইরাস চিকিৎসায় বিশ্বে কোনও অনুমোদিত পদ্ধতি নেই। প্লাজমা থেরাপিও আপাতত গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। যতদিন না ইন্ডিয়ান কাউন্সিল মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) অনুমোদন মিলছে, ততদিন দেশের কোথাও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করা যাবে না। গত মঙ্গলবারই সেকথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
জলন্ধরের পর এবার সাহারানপুর থেকে হিমালয় দর্শন, ৩০ বছর পর দেখা গেল ঝকঝকে গঙ্গোত্রী
উহানের ভাইরোলজির ল্যাবেই করোনার উৎপত্তি, গোয়েন্দা রিপোর্টে রয়েছে প্রমাণ, দাবি ট্রাম্পের
করোনার সংক্রমণ রোধ করতে পারে সিগারেটের নিকোটিন, চাঞ্চল্যকর দাবি এবার গবেষকদের
প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করে প্রথমে সুস্থ হয়ে ওঠেন কেরলের এক ব্যক্তি। সেই পথ অনুসরণ করে পরে সফল হয় দিল্লিও। তারপরেই একের পর এক রাজ্য প্লাজমা থেরাপির পথে পা বাড়াতে থাকে।
এদিকে শুক্রবার সকালেই এদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১৯৯৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,১৪৭।