পেঁয়াজের ফ্লেভার খাবারের স্বাদ আর গন্ধ দুটোই বাড়িয়ে দেয়। তবে পেঁয়াজ যে অত্যান্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পেঁয়াজ প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় উপকার। এটি কাঁচা স্যালাডে খাওয়া যায়। আবার এটি রান্নায় ব্যবহার করা যায়। ভারতের সুপারফুডগুলির মধ্যে অন্যতম হল পেঁয়াজ। এটির ফ্লেভার খাবারের স্বাদ আর গন্ধ দুটোই বাড়িয়ে দেয়। তবে পেঁয়াজ যে অত্যান্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পেঁয়াজ খাওয়ার উপতারিতাগুলি হল-
পুষ্টির পাওয়ার হাউস-
ছোট্ট একটি সবজি পেঁয়াজ। এতে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন সি আর বি৬ থাকে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পেঁয়াজে ফোলেট, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
অ্যান্টিঅক্টিডেন্টের খনি
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সেডেন্ট রয়েছে। এতে ফ্ল্যাভোনয়েড ও সালফার রয়েছে। যেমন কোয়ারসেটিন ও অর্গানোসালফার যৌগ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি ব়্যাডিকেলগুলিকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে কোষের যে ক্ষতি হয় তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
হজমের উপকারিতা
পেঁয়াজ খাদ্যাতালিকার ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস। এটি বিপাকক্রিয়াকে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়াগুলির জ্বালানিতে সাহায্য করে। পাচনতন্ত্রে মাইক্রোফ্লোরার একটি স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখে। পেঁয়াজ পুষ্টি শোষন করতে, হজম বাড়াতে আর কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
হার্টের স্বাস্থ্য
পেঁয়াজ বিভিন্ন উপায়ে হৃদরোগের উপকার করতে পারে। তারা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে, উভয়ই হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ। উপরন্তু, পেঁয়াজ শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, হৃদরোগের সাথে যুক্ত আরেকটি কারণ।
প্রদাহ বিরোধী
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হল আর্থ্রাইটিস, স্থূলতা এবং নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার সহ অনেক স্বাস্থ্য অবস্থার একটি সাধারণ অন্তর্নিহিত কারণ। পেঁয়াজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সালফার যৌগগুলির উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই যৌগগুলি সারা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, সম্ভাব্যভাবে প্রদাহজনক অবস্থার সাথে সম্পর্কিত উপসর্গগুলি উপশম করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।