ভারতের উত্তরের পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার মুন্দ্রা বন্দর থেকে উদ্ধার হল প্রায় ৩ হাজার কেজি মেফোড্রন। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২১ হাজার কোটি টাকা।
শুক্রবার ৬০ কেজি মেফেড্রন মাদকসহ নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো-র জালে ধরা পড়লেন এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন বিমানচালক। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের একটি গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেন নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) আধিকারিকরা। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২০ কোটি টাকা। গ্রেফতার করা হয় ২জনকে। এই ধৃতদের মধ্যে এক জন প্রাক্তন বিমানচালক বলে জানিয়েছে এনসিবি।
গ্রেফতারির পর এনসিবির এক পদস্থ আধিকারিক শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ওই প্রাক্তন পাইলটের নাম সোহেল গফ্ফর। এক সময় তিনি এয়ার ইন্ডিয়ায় বিমান চালকের পদে চাকরি করতেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন আমেরিকা থেকে। বছর কয়েক আগে হঠাতই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।
চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে ইস্তফাপত্রে নিজেকে শারীরিক ভাবে অসুস্থ বলে জানিয়েছিলেন সোহেল। চিকিৎসা করাতে হবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো-র মতে, এই মাদকচক্রের যোগ অনেক লম্বা। এই শেকলের একেবারে গোড়ায় গিয়ে পোঁছতে গত ৩ অক্টোবর যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়েছিলেন গুজরাতের জামনগরে এনসিবির সদর দফতর এবং মুম্বই অফিসের আধিকারিকরা। তখনই জানা গেছিল, মোট ২২৫ কেজি মাদক বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে কারবারিরা। এর মধ্যে উদ্ধার করা গিয়েছিল ৬০ কেজি মাদক। এর আগে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে ভদোদরা থেকে ২০০ কেজি মেফেড্রন বাজেয়াপ্ত করেছিল এনসিবি। তার আগে এপ্রিল মাসেও কান্দলা থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২৬০ কেজি মাদক।
এবার ভারতের উত্তরের পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার মুন্দ্রা বন্দর থেকে উদ্ধার হল প্রায় ৩ হাজার কেজি মেফেড্রন। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২১ হাজার কোটি টাকা। প্রাক্তন পাইলট সোহেল গফ্ফর ও তাঁর দুই সঙ্গীকে পাকড়াও করার পর বড়সড় মাদকচক্রের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। মাদক কারবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা গিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন-
গরু পাচারকাণ্ডে আরও ফাঁপরে অনুব্রত মণ্ডল, সিবিআইয়ের ৩৫ পাতার চার্জশিটে ৫৩টি সম্পত্তির উল্লেখ
শ্রীগৌরী সাওয়ান্তের চরিত্রে সুস্মিতা সেন, প্রকাশ পেল তৃতীয় লিঙ্গের চরিত্রে ‘তালি’-র প্রথম ঝলক
২ বছরের অতিমারি পেরিয়ে শহরে ফিরছে দুর্গাপুজো কার্নিভাল, কলকাতা পুলিশের সিদ্ধান্ত কী?