'এদের হাতেই রয়েছে ভবিষ্যত গড়ার চাবিকাঠি', গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ সম্মেলনে কাদের কথা বললেন মোদী

এরাই ভবিষ্যতের রূপরেখা গড়ে দেবেন

সোমবার থেকে শুরু হল ১৬তম গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জস বার্ষিক সম্মেলন

ভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় কাদের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

ভবিষ্যত গড়ায় ভারতের ভূমিকা কতটা

 

amartya lahiri | Published : Oct 19, 2020 3:47 PM IST

বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরাই ভবিষ্যতের রূপরেখা গড়ে দেবেন। সেইসঙ্গে, সোমবার ১৬তম গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জস বার্ষিক সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দোর দিলেন টিমওয়ার্ক-এর উপর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্বব্যাপী মহামারি আমাদের আবারও দলগত কাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করালো।'

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই বছর ভারতেই এই বার্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোভিড মহামারির প্রেক্ষিতে তা তিনদিনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরাই ভবিষ্যতকে রূপ দেবেন। তবে, স্বল্পমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোলে কোনও লাভ হবে না বলে সতর্ক করেছেন তিনি। তাঁর মতে, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হবে অনেক আগে থেকে, যাতে সঠিক সময়ে সেই বিনিয়োগের সুবিধা নেওয়া যায়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শক্তি কতটা তা ব্যখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই ভার্চুয়াল সম্মেলনেরই উদাহরণ দেন। বলেন, 'ভারতেই শারীরিকভাবে এই সম্মেলন হওয়ার কথা হয়েছিল। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রযুক্তির শক্তি এমনই যে বিশ্বব্যাপী চলা মহামারী আমাদের দূরে রাখতে পারেনি'। তিনি আরও জানান, ভারতে একটি শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত বৈজ্ঞানিক পরিবেশ রয়েছে। রয়েছে ভালো ভালো বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানও। গত কয়েক মাসে কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় তারা ভারতের সবচেয়ে বড় সম্পদ হয়ে উঠেছে। মহামারিকে এক জায়গায় আবদ্ধ রাখা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষমতা বাড়ানোর মতো বিষয়ে আশ্চর্য উচ্চতা অর্জন করেছে এই প্রতিষ্ঠানগুলি, এমনটাই জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর তার জন্যই এখন ভারতে প্রতিদিনই নতুন কোভিড রোগীর সংখ্যা কমছে এবং সুস্থ হয়ে ওঠার হার বাড়ছে।

২১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। তিনদিনের এই কর্মসূচিতে নীতি নির্ধারক এবং বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন নেতারা একত্রিত হয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে কীভাবে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষ নজর থাকবে কোভিড-১৯ মহামারির দিকে। শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বৈঠক, প্যানেল ডিসকাশন এবং বিভিন্ন বিষয়ে ভার্চুয়াল অনানুষ্ঠানিক কথোপকথন হবে এই সম্মেলনে।

 

Share this article
click me!