Gaganyaan mission: গগনযান মিশনের জন্য নির্বাচিত ৪ মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ কোথায় হয়েছিল? জানলে অবাক হবেন

ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। গগনযান মিশনের নির্বাচিত প্রথম চার মহাকাশচারীও সেই কেন্দ্র থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার গগনযান মিশনের জন্য ভারতের চার নভোচারীর নাম ঘোষণা ররেছেন। কেরলের থাম্বুরা বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের মহাকাশচারীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখাও করেছেন তিনি। মহাকাশচারীদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণান নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণান, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা। তবে এই মহাকাশচারীর সঙ্গে একটি মিল রয়েছে ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাশেক শর্মার।

ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। গগনযান মিশনের নির্বাচিত প্রথম চার মহাকাশচারীও সেই কেন্দ্র থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রাকেশ শর্মী ১৯৮৪ সালে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। মহাকাশচারীদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণান নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণান, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা এরাও সেই কেন্দ্র থেকে গত পাঁচ বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

Latest Videos

মস্কোর উত্তরে স্টার সিটিতে অবস্থিত ইউরি গ্যাগারিন সমমোনট ট্রেনিং সেন্টার। এটি অধ্যাধুনিক সুবিধার জন্য বিশ্ববিখ্যাত। এখানে রয়েছে সিমিলেটর ও মহাকাশে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। এখানে পর্বত, বনভূমি , জলাভূমি, মরুভূমি, আর্কিটক ও সামুদ্রিক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।

১৯৮৪ সালে ৩ এপ্রিল রাকেশ শর্মা সোয়ুজ T-1 মহাকাশযানে মহাকাশ অভিযানে গিয়েছিলেন। তিনি ভারতের একমাত্র মহাকাশচারী নাগরির হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। সেই অভিযানটিও ছিল সফল। তিনি মহাকাশে কাটিয়েছিলেন ৭ দিন ২১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। এই সময় তাঁর দল ৪৩টি পরীক্ষামূলক সেশন সহ একাধিক বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত গবেষণা করা হয়েছিল। তাদের তদন্ত প্রাথমিকভাবে বায়োমেডিসিন ও রিমোট সেন্সিং-এর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় মহাকাশচারীরা মস্কো ও ভারতে কথাও বলেছিলেন। রাশেক শর্মা কথা বলেছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে।

গগনযান মিশনের জন্য নির্বাচিত চার নভোচারী হলেন,

১, গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণান নায়ার

ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির প্রাক্তন ছাত্র, ভারতীয় বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণান নায়ার এয়ার ফোর্স একাডেমিতে সম্মানজনক সোর্ড অফ অনার অর্জন করেছেন। বাহিনীর ফাইটার স্ট্রীমে কমিশন করা, জিপি ক্যাপ্টেন নায়ারকে 'ক্যাটাগরি এ' ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর এবং একজন টেস্ট পাইলট হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে, যা প্রায় ৩ হাজার ঘন্টা উড়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে গর্বিত। Sukhoi-30MKI, MiG-21, MiG-29, Hawk, Dornier এবং An-32 সহ একাধিক যুদ্ধ বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। কেরলের বাসিন্দা তিনি।

২. গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণান

ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির প্রাক্তন ছাত্র। এয়ার ফোর্স একাডেমিতে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক এবং সোর্ড অফ অনারের একজন বিশিষ্ট প্রাপক। ২১ জুন, ২০০৩-এ ফাইটার স্ট্রীমে কমিশনপ্রাপ্ত, তিনি ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর এবং একজন টেস্ট পাইলট উভয় হিসাবেই কাজ করেছেন, প্রায় ২৯০০ ঘন্টা উড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তাঁরও একাধিক যুদ্ধ বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা তিনি।

৩. গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ

গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ (পূর্বে এলাহাবাদ) ১৭ জুলাই, ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন, ২০০২ সালে একজন ফাইটার পাইলট হিসেবে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে তার যাত্রা শুরু করেন। ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির একজন স্নাতক, তিনি ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর এবং একজন টেস্ট পাইলট উভয় হিসেবেই কাজ করেছেন, প্রায় ২০০০ ঘন্টা ফ্লাইং টাইম সংগ্রহ করেছেন।

৪. উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা

উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা, উত্তরপ্রদেশের লখনউতে ১০ অক্টোবর, ১৯৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি জাতীয় প্রতিরক্ষা একাডেমির প্রাক্তন ছাত্র। 17 জুন, 2006 তারিখে কমিশনপ্রাপ্ত, ফাইটার স্ট্রীমে, তিনি ফাইটার কমব্যাট লিডার এবং একজন টেস্ট পাইলট হওয়ার গৌরব অর্জন করেন, প্রায় ২০০০ ঘন্টার উড়ান অভিজ্ঞতা রয়েছে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'কত বড় সাহস! পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে ভোট দিতে যাবে না' এ কী অভিযোগ করলেন শুভেন্দু
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য, কী বললেন তিনি, দেখুন সরাসরি
'ভাইপোর চাকর পুলিশ কেন বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করল?' গর্জে উঠে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today
অসাধ্য সাধন! যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকার সত্ত্বেও ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তুলল বারাসাত মেডিক্যাল