বাড়ছে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের জলের স্তর, প্রবল ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা সমীক্ষার রিপোর্টে

  • এই শতাব্দীর শেষে নদীর জলের স্তর ১৪০ অবধি সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধির আশঙ্কা
  • নদী পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির রয়েছে প্রবল ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা
  • নদীর কবলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ভারত বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা
  • এই এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই বন্যাকবলিত এলাকাগুলির তালিকায় রয়েছে

deblina dey | Published : Jan 8, 2020 8:06 AM IST / Updated: Jan 08 2020, 02:59 PM IST

গঙ্গা নদীকে দেবীজ্ঞানে পূজা করেন হিন্দু সম্প্রদায়। গঙ্গার ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম। একাধিক পূর্বতন প্রাদেশিক ও সাম্রাজ্যিক রাজধানী যেমন পাটলিপুত্র, কনৌজ, কাশী, এলাহাবাদ, মুর্শিদাবাদ, মুঙ্গের ও কলকাতা এই নদীর তীরেই অবস্থিত। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপটি পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে এবং দুশো মিলিয়ন লোকের বাসিন্দা। গবেষণা অনুযায়ী এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ নদীর জলের স্তর ১৪০ অবধি সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন- সোলেমানি হত্যার বদলা, ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের


সোমবার পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, গঙ্গার জলের স্তর বৃদ্ধি পেতে পারে, সেই সঙ্গে পাশাপাশি বন্যার প্রকোপের ফলে ভারত ও বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি ধীরে ধীরে নদীর কবলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফ্রান্সের সিএনআরএস থেকে আসা গবেষকগণের মতে এই অঞ্চলটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক ঘনবসতিযুক্ত ব-দ্বীপ। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।


সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ এবং পূর্ব ভারতের এক অংশ জুড়ে এই ব-দ্বীপটি ইতিমধ্যেই বন্যাকবলিত এলাকাগুলির তালিকার মধ্যে রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, এই অঞ্চলে প্রায়শই বৃষ্টিপাত, সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধি, নদীর প্রবাহ এবং ভূমি হ্রাসের ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে, ১৯৬৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জলের স্তর বছরে গড়ে তিন মিলিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বিশ্বের গড় সমুদ্র পৃষ্ঠের বৃদ্ধি থেকে কিছুটা বেশি।

আরও পড়ুন- কাশীরের 'স্বাধীনতা' চাইনি,এফআইআর হতেই সাফাই দিলেন আজাদ কাশ্মীরের পোস্টারধারী


সমীক্ষায় সতর্ক করা হয়েছে যে, একই পরিমাণে গঙ্গার জলের স্তর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে গ্রীনহাউস গ্যাস প্রশমন পরিস্থিতি অনুসারে, শতাব্দীর শেষের দিকে ৮৫-১৪০ সেমি পৌঁছে যেতে পারে যা সর্বশেষ আইপিসিসির প্রতিবেদনে প্রদত্ত অনুমানগুলির প্রায় দ্বিগুণ। গবেষকদের মতে, এই গবেষণার ফলে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপে জলের স্তর সম্পর্কে এবং বন্যা প্রশমনের আগাম প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারে।

Share this article
click me!