Missile Destroyer-চিন-পাকিস্তানকে চমকে ভারত পাচ্ছে ভয়ঙ্কর গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার

Published : Nov 21, 2021, 08:56 AM IST
Missile Destroyer-চিন-পাকিস্তানকে চমকে ভারত পাচ্ছে ভয়ঙ্কর গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার

সংক্ষিপ্ত

রবিবার বিশাখাপত্তনম নামের এই মিসাইল ধ্বংসকারী নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেটের সম্ভার দিয়ে সাজানো হয়েছে। 

দেশীয়ভাবে তৈরি (Indigenously-built) স্টিলথ গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ারের (guided-missile destroyer) অন্তর্ভুক্তি। রবিবার বিশাখাপত্তনম(Visakhapatnam) নামের এই মিসাইল ধ্বংসকারী নৌবাহিনীর (Indian Navy) হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেটের সম্ভার দিয়ে সাজানো হয়েছে। ওয়েস্টার্ন নেভাল কমান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই যোগদান অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং শীর্ষ নৌ কমান্ডাররা উপস্থিত থাকবেন বলে নৌসেনার আধিকারিকরা জানিয়েছেন। 

'বিশাখাপত্তনম' প্রাণঘাতী অস্ত্র ও সেন্সর দিয়ে সজ্জিত, যার মধ্যে রয়েছে সুপারসনিক সারফেস-টু-সার্ফেস এবং সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল, মাঝারি ও স্বল্প-পাল্লার বন্দুক, অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেট এবং উন্নত ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার এবং যোগাযোগ স্যুট। বিবৃতিতে এমনই জানিয়েছে নৌসেনা। 

জাহাজটির দুটি সমন্বিত হেলিকপ্টার বহন করার ক্ষমতা রয়েছে। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ডিজিটাল নেটওয়ার্ক, যুদ্ধ পরিচালনা ব্যবস্থা এবং সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে খুব উচ্চ স্তরের অটোমেশনের ব্যবস্থা। এটি ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, ১৫বি-এর প্রথম স্টিলথ গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার যার অধীনে মোট চারটি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা হচ্ছে।

পরবর্তী জাহাজটি ২০২৩ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে এবং অন্য দুটি ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নৌসেনার তরফে বলা হয়েছে যুদ্ধজাহাজটি ভারতীয় নৌবাহিনীর অভ্যন্তরীণ সংস্থা, ডিরেক্টরেট অফ নাভাল ডিজাইন তৈরি করেছে। নির্মাণ হয়েছে মাঝগাঁও ডক লিমিটেডের হাতে। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৬৩ মিটার, প্রস্থ ১৭ মিটার যার স্থানচ্যুতি 7,400 টন।

নৌসেনার এক আধিকারিক বলেছেন, "এটিকে যথাযথভাবে ভারতে নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।" চারটি শক্তিশালী গ্যাস টারবাইন দ্বারা চালিত জাহাজটি ৩০ নটের বেশি গতি অর্জন করতে সক্ষম। এটি একটি আধুনিক সারভেলেন্স রাডারের সাথে যুক্ত, যা লক্ষ্যবস্তুর যাবতীয় তথ্য তুলে ধরতে পারে। জাহাজের অ্যান্টি সাবমেরিন যুদ্ধ ক্ষমতার মধ্যে পড়ছে দেশীয়ভাবে তৈরি রকেট লঞ্চার, টর্পেডো লঞ্চার এবং অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার হেলিকপ্টার। 

জাহাজটি পারমাণবিক, জৈবিক এবং রাসায়নিক (এনবিসি) যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লড়াই করার জন্যও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে নৌসেনা। ভাইস অ্যাডমিরাল সতীশ নামদেও ঘোরমাদে, নৌবাহিনীর ভাইস চিফ বলেছেন বিশাখাপত্তনমের মতো উন্নত যুদ্ধজাহাজ, ডিজাইন ও নির্মাণের ক্ষমতা সম্পন্ন দেশগুলির তালিকায় ভারতের অন্তর্ভুক্তি ঘটিয়েছে। 

শনিবারই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, আত্মর্নিভরতার  দিকে ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। খুবই দ্রুত ভারত চাহিদা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা সামগ্রীর ৯০ শতাংশ দেশেই উৎপাদন করবে।২০২৪ -২৫ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানিও করবে। বর্তমানে একাধিক প্রতিরক্ষা সামগ্রী দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। আগামী দিনে এর পরিমাণ ধাপে ধাপে আরও বাড়ান হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

আগে ৬৫-৭০ শতাংশ প্রতিরক্ষা পণ্য আমদানি করা হত। এখনও ভারত স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশেই প্রয়োজনীয় ৬৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন হচ্ছে। রাজনাথ সিং জানিয়েছেন আগে ভারতের পরিচয় ছিল আমদানিকারক দেশ হিসেবে। কিন্তু বর্তমানে ভারত দেশে তৈরি প্রতিরক্ষা সামগ্রী প্রায় ৭০টি দেশে রফতানি করছে। রাজনাথ সিং এই মন্তব্য করছেন রাষ্ট্র রক্ষা সমর্পণ পর্বের সমাবেশে। ২০২৪-২৫এর মধ্যে ভারত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্ধারিত ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের প্রতিরক্ষা পণ্যে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার ব্যাপারেও দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যে দৃঢ়় প্রতিজ্ঞ- তাও জানিয়েছেন তিনি। 

PREV
click me!

Recommended Stories

প্রার্থী পদ বিক্রি ৫ কোটিতে, এই দাবির পরই নভজ্যোত সিধু ও তাঁর স্ত্রীকে সাসপেন্ড করল কংগ্রেস
৮২৭ কোটি টাকা যাত্রীদের এখনও পর্যন্ত ফেরত দিয়েছে , বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল IndiGo