এই আইনটি ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও-এর কংগ্রেস সরকারের সময় করা হয়েছিল। এই আইনের অধীনে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদ্যমান কোনো ধর্মের উপাসনালয়কে অন্য কোনো ধর্মের উপাসনালয়ে রূপান্তর করা যাবে না।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে প্লেস অফ ওয়ার্শিপ অ্যাক্টের বিরুদ্ধে দায়ের করা পিটিশনের গুরুত্বপূর্ণ শুনানি স্থগিত করা হয়েছে। উত্তর দাখিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আরও সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। জবাব দিতে সরকারকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এখন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
প্লেস অফ ওয়ার্শিপ অ্যাক্ট কি?
এই আইনটি ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও-এর কংগ্রেস সরকারের সময় করা হয়েছিল। এই আইনের অধীনে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদ্যমান কোনো ধর্মের উপাসনালয়কে অন্য কোনো ধর্মের উপাসনালয়ে রূপান্তর করা যাবে না। এই আইনে বলা হয়েছিল, কেউ যদি এমন করে তাহলে তাকে জেলে পাঠানো যাবে। আইন অনুযায়ী, স্বাধীনতার সময় যে ধর্মীয় স্থান ছিল, তা-ই থাকবে।
আইন কেন করা হলো?
আসলে, ১৯৯১ সালে, রামমন্দির ইস্যু পুরোদমে ছিল। দেশে রথযাত্রা বের হচ্ছিল। রাম মন্দির আন্দোলনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে, অযোধ্যার সাথে আরও অনেক মন্দির-মসজিদ বিরোধ দেখা দিতে শুরু করে। এর আগে ১৯৮৪ সালে একটি ধর্ম সংসদের সময় অযোধ্যা, মথুরা, কাশী দাবি করার দাবি ওঠে। এসব বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়তে থাকলে তা আইনে আনা হয়।
আইনে কি কি বিধান আছে?
আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এসব ধর্মীয় স্থানের কোনো ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন করতে পারবেন না। এর মানে হল, এগুলো ভেঙ্গে ফেলা যাবে না আবার নতুন করে বানানো যাবে না। আইনে এটাও লেখা আছে যে, ইতিহাসে অন্য কোনো ধর্মীয় স্থান ভেঙ্গে বর্তমান ধর্মীয় স্থানটি নির্মিত হয়েছে বলে প্রমাণিত হলেও এর বর্তমান রূপ পরিবর্তন করা যাবে না। এ ছাড়া ধর্মীয় স্থানটিকে অন্য কোনো ধর্মের স্থানে পরিণত করা হবে না।
উল্লেখ্য, এই আইন আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে জ্ঞানবাপি মামলার সময়ে। কাশী বিশ্বনাথ-জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে শ্রিংগার গৌরী স্থলের পূজা করার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে পাঁচ হিন্দু মহিলার দায়ের করা আবেদনের শুনানি করে আদালত। মসজিদের চত্বরে একটি শিবলিঙ্গের মতো একটি কাঠামো আবিষ্কৃত হওয়ার পরে এই আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। যাইহোক, মসজিদ কমিটি হিন্দু আবেদনকারীদের দাবি খণ্ডন করেছে এবং দাবি করে যে কাঠামোটি একটি ঝর্ণা এবং শিবলিঙ্গ নয়।
আরও পড়ুন
শিবলিঙ্গের নিরাপত্তা বজায় থাকব,জ্ঞানবাপি মামলায় রায় সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চের