রাজ্য সরকারের সঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের স্নায়ুর লড়াই চলছেই। কিন্তু বাংলায় চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে চিকিৎসক নিগ্রহে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করলেন।
রাজ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদেক কর্মবিরতি এ দিন পঞ্চম দিনে পড়ল। জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়ে অসংখ্য সিনিয়র চিকিৎসকও সরকারি চাকরি থেকে গণইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। ফলে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। বাংলায় চিকিৎসকদের বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। সোমবারই দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের সবথেকে বড় সংগঠন আইএমএ।
এই অবস্থায় তাই হাত গুটিয়ে বসে থাকতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চায় তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই প্রবণতা থামাতে প্রয়োজনে রাজ্যগুলিকে আরও কড়া আইন প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীদের পাঠানো চিঠিতে তিনি হর্ষবর্ধন লিখেছেন, 'বিভিন্ন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এবং চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন না। পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে তৈরি হওয়া সংকট আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। ঘটনার জেরে গোটা দেশেই সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ধর্মঘট করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।' এর থেকেই স্পষ্ট, বাংলায় চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতিতে কতটা উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
চিঠিতে হর্ষবর্ধন আরও লিখেছেন, চিকিৎসকরা যাতে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত হয়েই পরিষেবা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যগুলিকে। শনিবারই আইএমএ এবং দিল্লি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসকদের সমস্যার কথা তুলে ধরে।