নবান্নকে না জানিয়েই আমফান নিয়ে মোদীর বৈঠক, ক্ষুব্ধ মমতাকে ফোন করে পাশে থাকার আশ্বাস শাহের

  • রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন আমফান
  • পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে মমতাকে ফোন
  • মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন অমিত শাহ
  • রাজ্যের আমফান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা

Asianet News Bangla | Published : May 19, 2020 6:50 AM IST / Updated: May 19 2020, 12:29 PM IST

রাজ্যে যখন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণের ঘটনা তখনি সুপার সাইক্লোন আমফান চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। বাংলাকেই এবার টার্গেট করে আছড়ে পড়তে চলেছে সুপার সাইক্লোন। এই মারাত্মক বিপর্যের সঙ্গে লড়াই করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশেই রয়েছে কেন্দ্র, তা জানাতে মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিপর্যয় মোকাবিলায় মমতাকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন অমিত। 

আরও পড়ুন: ফের পরিযায়ীদের রক্তে রাঙা এদেশের রাজপথ, জোড়া দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শ্রমিকদের

১৯৯৯ সালে শেষবার সুপার সাইক্লোন দেখেছিল ভারতের পূর্ব উপকূল ৷ সেবার সুপার সাইক্লোন ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিশাল অংশকে বিধ্বস্ত করেছিল। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল ওড়িশায়। এবার সেই প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলাতে। এই অবস্থায় এই শতাব্দীর প্রথম সুপার সাইক্লোনকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করেন। রাজ্যের আমফান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি আমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন রাজ্য চাইলে ত্রাণ তৈরি রয়েছে। ইতিমধ্যে এনডিআরএফ দলও বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পৌঁছে গেছে।

 

 

আমফান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে কেবল ডাকা হয় রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনারকে। এই বিষয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা রাজ্যের কোনও আধিকারিককে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছিল নবান্ন। গোটা বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রোটোকল ভাঙার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর ১০৯ দিন পার, দেশে সংক্রমণের সংখ্যা এবার ছাড়াল লাখের গণ্ডি

 করোনা আবহে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে ভয়ঙ্কর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে। তবে বৈঠক শেষে  যে কোনও সাহায্যের জন্য কেন্দ্র তৈরি বলে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

 

এদিকে ইতিমধ্যে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়া আমফান বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই বাংলার বুকে আছড়ে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। এই ঘূর্ণিঝড় বাংলা ও ওড়িশার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমফানের ফলে মঙ্গলবার থেকেই বাংলার উপকূলবর্তী জেলায় ভাপি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাইক্লোনের ফলে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

Share this article
click me!