দেশ থেকে কোনওভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না সিএএ, কড়া ভাষায় স্পষ্ট কথা জানালেন অমিত শাহ

অমিত শাহ বলেন, "বিরোধীদের কোনো কাজ নেই। তাদের ইতিহাস হল তারা যা বলে, তারা করে না। মোদীজির ইতিহাস হল বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী মোদী যা বলেছেন, ওটা পাথরে গেঁথে আছে।

Parna Sengupta | Published : Mar 14, 2024 6:38 AM IST

দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকর হওয়ার পরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন যে কোনও মূল্যে এটি প্রত্যাহার করা হবে না। অমিত শাহ বলেছেন যে আমাদের দেশে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা আমাদের সার্বভৌম অধিকার, আমরা এই বিষয়ে কখনই আপস করব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিষয়ে, অমিত শাহ বলেছেন যে সেই দিন দূরে নয় যখন বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি সরকার হবে এবং সেখান থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন অমিত শাহ।

সিএএ-র মাধ্যমে ভোটব্যাঙ্ক তৈরির বিরোধীদের অভিযোগের বিষয়ে অমিত শাহ বলেন, "বিরোধীদের কোনো কাজ নেই। তাদের ইতিহাস হল তারা যা বলে, তারা করে না। মোদীজির ইতিহাস হল বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী মোদী যা বলেছেন, ওটা পাথরে গেঁথে আছে। মোদীর গ্যারান্টি পূরণ হয়েছে।" সম্প্রতি অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছিলেন যে বিজেপি কোটি কোটি মানুষকে এনে ভারতে বসতি দেবে, যা অনেক সমস্যা তৈরি করবে।

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, "যখন থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে তখন থেকেই মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন তিনি। তিনি যা জানেন না তা হল এই সমস্ত লোক ইতিমধ্যেই ভারতে এসেছে এবং এখানে বসবাস করছে। যদি তিনি এত উদ্বিগ্ন, তাহলে কেন তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কথা বলেন না? বা কেন তিনি রোহিঙ্গাদের বিরোধিতা করেন না? তিনি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন। তিনি দেশভাগের পটভূমি ভুলে গেছেন, তার উচিত শরণার্থীদের পরিবারের সাথে দেখা করা।"

এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি সিএএকে মুসলিমবিরোধী বলে অভিহিত করেছেন। এর জবাবে অমিত শাহ বলেন, "এটা কী যুক্তি? এটা কীভাবে মুসলিমবিরোধী? সিএএ-র মাপকাঠি হল যে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই তিনটি দেশ পাকিস্তান হওয়ায় মুসলমানদের ওপর ধর্মীয় নিপীড়ন ঘটতে পারে না। আফগানিস্তান ও বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে কে করবে ধর্মীয় নির্যাতন? এতে এনআরসির কোনো বিধান নেই, কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনো বিধান নেই।"

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Read more Articles on
Share this article
click me!