সমকাম বিবাহে আইনি শিলমোহড় পড়ার যখন কাউন্ট-ডাউন চলছে। ঠিক সেই সময়-ই এক নতুন বিতর্ক উস্কে দিল আরএসএস-এর সমীক্ষা। যেখানে দাবি করা হয়েছে হোমোসেক্সুয়ালিটি আসলে একটি ডিসঅর্ডার।
সমকাম বিবাহে নতুন বিতর্ক তৈরি করল আরএসএস-এর একটি সমীক্ষা। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে সমকাম আসলে একটি ডিসঅর্ডার। আর সমকাম বিবাহে যদি আইনি শিলমোহড় লাগে তাহলে এই ডিসঅর্ডার-কে সমাজের বুকে বাড়তে ইন্ধন জোগানো হবে। সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর দেওয়ার একটি প্রতিবেদনে এই খবর সামনে এসেছে। আর এই খবর সামনে আসার পর থেকে চারিদিকে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে যদিও এই নিয়ে আরএসএস মূল সংগঠনের কর্তা-ব্যক্তিদের মতামত বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আরএসএস-এর মহিলা শাখা সমওয়ারধিনি ন্যাস-এর পক্ষ থেকে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
সমওয়ারধিনি ন্যাস-এই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে বহু চিকিৎসক জানিয়েছেন যে হোমোসেক্সুয়ালিটি আসলে একটা ডিসঅর্ডার। আর তাই সমকাম বিবাকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে এই ডিসঅর্ডারকে উসকানি দেওয়া। পিটিআই-এর প্রকাশ করা এই প্রতিবেদনে রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি যা আরএসএস-এর একটি সমান্তরাল মহিলা সংগঠন, তার এক শীর্ষস্থানীয় কর্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, দেশজুড়ে মোট ৩১৮ জন চিকিৎসকের সঙ্গে এই সমীক্ষায় কথা বলা হয়েছিল। এই চিকিৎসকরা বিভিন্ন প্যাথিজ অর্থাৎ মর্ডান মেডিক্যাল সায়েন্সের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেন, এদের মধ্যে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরাও রয়েছেন। সমওয়ারধিনী ন্যাস-এর মতে সমীক্ষায় ৭০ শতাংশ চিকিৎসাবিদ্যা বিশারদ নাকি হোমোসেক্সুয়ালিটিকে একটা ডিসআর্ডার বলেই বর্ণনা করেছেন। আর এর মধ্যে ৮৩ শতাংশ নাকি বিশ্বাস করেন হোমোসেক্সুয়াল রিলেশন মানে সমকাম শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়েই আরও বেশি করে সমকাম বা হোমোসেক্সুয়ালদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
আরএসএস-এর এই মহিলা শাখা সংগঠনের করা সমীক্ষায় আরও দাবি করা হয়েছে যে এতকিছুর পরেও যদি সমকাম বিবাহে আইনি শিলমোহড় লাগে তাহলে এই ডিসঅর্ডার পুরো সমাজকে গ্রাস করবে। যার ফলে এই ধরনের ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা তো হবেই না উল্টে এর প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে চমরহারে। তাই সমকাম বিবাহ বা সেম সেক্স ম্যারেজকে শিলমোহড় না দিয়ে উচিত এই ডিসঅর্ডারে যারা আক্রান্ত (সমীক্ষার ভাষা অনুযায়ী) তাদেরকে কীভাবে সুস্থ করে তোলা যায়- সেই বিষয়ে চিন্তা করার দরকার আছে। যাতে এদেরকে একটা সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়। এমন কথাও নাকি এই সমীক্ষাতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হোমোসেক্সুয়ালদেরকে কাউনসেলিং-এর মাধ্যমে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনেও ফিরিয়ে আনা যেতে পারে বলে আরএসএস-এর এই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। সমওয়ারধিনি ন্যাস-এর এই সমীক্ষায় আরও দাবি করা হয়েছে যে সেম সেক্স ম্যারেজ বা সমকাম বিবাহে আইনি শিলমোহড় দেওয়ার আগে সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়াটা দরকার। এমনতী সমীক্ষায় এও নাকি বলা হয়েছে, ৬৭ শতাংশ চিকিৎসক যারা এতে মতামত ব্যক্ত করেছেন তারা মনে করেন হোমোসেক্সুয়াল কাপলরা তাদের সন্তানকে ঠিক করে মানুষ করতে পারেন না।
আরও পড়ুন-
সমকাম-এর অভিযোগে এক তরুণীকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেফতার ৫