'পিপিই পরাটা বেদনাদায়ক', একমাস পর বাড়ি ফিরে কোভিড চিকিৎসা নিয়ে মুখ খুললেন নার্স

Published : May 06, 2020, 10:22 PM IST
'পিপিই পরাটা বেদনাদায়ক', একমাস পর বাড়ি ফিরে কোভিড চিকিৎসা নিয়ে মুখ খুললেন নার্স

সংক্ষিপ্ত

পিপিই নেই বলে হাহাকার চারিদিকে কিন্তু, পিপিই পরে কাজ করাটা কি সহজ কতটা কঠিন করোনা রোগীদের সেবা করাটা একমাস পর বাড়ি ফিরে জানালেন করোনা-যোদ্ধা  

চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত পিপিই বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক নেই বলে সরকারের সমালোচনা হচ্চে। কিন্তু, সারাক্ষণ ওই ধরাচুড়ো পরে কাজ করাটা কি সহজ কথা? ঠিক কতটা কঠিন পিপিই পরে কোভিড-১৯ রোগীদের শুস্রুষা করা? মহারাষ্ট্রের নাগপুরের এক হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্জে কর্মরত এক নার্স, সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।

ওই নার্সের নাম রাধিকা ভিনচুরকর। গত একমাস ধরে একটানা নাগপুরের এক হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে করোনা রোগীদের সেবা শুশ্রষা করেছেন তিনি। একমাস পর ছুটি পেয়ে তিনি বাড়িতে ফিরেছেন। ওই নার্স পরিষ্কার জানিয়েছেন, এমনিতেই হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের সঙ্গে কাজ করা খুব কঠিন। কারণ করোনভাইরাস আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর অবস্থা খুব গুরুতর না হওয়ায় তারা মনে করেন তাদের অহেতুক হাসপাতালে রাখা হচ্ছে। তাই নার্সদের তাদের বিরক্তি সহ্য করতে হচ্ছে, অপ্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে।

তার উপর রয়েছে পিপিই বা ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম। ওই উদ্ভট পোশাক  যদি শুধু কোভিড ওয়ার্জে পরতে হত, তাহলে হয়তো অতটা অসুবিধা হত না। কিন্তু, সংক্রমণের ভয়ে এটা পরে থাকতে হয় ডিউটির পুরো সময়টা জুড়ে। কারণ একবার ব্যবহার করার পর ওই পিপিই নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিতে হয়।

ভিনচুরকর বলেছেন, 'কোভিড -১৯ রোগীদের চিকিত্সা করা বেশ কঠিন। আর পিপিই পরা বেদনাদায়ক'।

করোনা-র সঙ্গে জুটল রহস্যময় প্রদাহজনিত সিন্ড্রোম, ১৫ শিশুর অবস্থা গুরুতর

কোভিড সংকট কাটাতে বাগানে হাঁটছেন শতায়ু বৃদ্ধ, তাতেই তহবিল উঠল ৬০ লক্ষ টাকার

১২ কোটিরও বেশি মানুষ কাজ হারালেন ৪০ দিনে, লকডাউন থাবা বসাতে শুরু করল চাকরিতে

বুধবার ভারতে ২,৯৯৮ টি নতুন করোনভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে আর নতুন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ১২৬ টি। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৯,৩৯১। শুধু মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৫২৫ জন। মঙ্গলবার রাতেই মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ মামলার বিষয়ে বৈঠক করেছেন। অবস্থার পর্যালোচনা করেছেন। তিনি পরে জানান, মুম্বই, পুনে, থানে, নাসিক, আওরঙ্গাবাদ, নাগপুর এবং সোলাপুর-এর পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

বিএলও-দের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
বন্দে মাতরম সম্পাদনা কি দেশভাগের কারণ? অমিত শাহের মন্তব্যে তোলপাড়