কথাতেই আছে বুদ্ধি থাকলেই উপায় হয়। যার মগজের শান যত বেশি তার কাছে ততই বেশি সহজ যে কোনও সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া। এরকমই এক নজরবিহীন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন হায়দ্রাবাদের এক যুবক। জোমাটোর মাধ্যমে নিজের বাড়ি পৌঁছলেন হায়দ্রাবাদের ওই যুবক। এমনকী তার এই বুদ্ধির প্রশংসাও করতে বাধ্য হয়ে জোমাটো।
অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা হিসাবে আজকাল বেশ পসার সাজিয়েছে জোমাটো। ফলে খিদে পেলেই হাতের মুঠোয় রয়েছে খাবারের আমদানি। তবে এই খাবার ডেলিভারি সংস্থাকে যে কেউ বাড়ি পৌছনোর এক মাধ্যম বানাতে পারে তা সকলের ভাবনার ঊর্দ্ধে ছিল। ওবেশ কমিরিসেট্টি নামের হায়দ্রাবাদের এক যুবক এই অসাধ্যই সাধন করলেন। এদিন বাড়ি ফেরার জন্য ক্যাব পাচ্ছিলেন না ওবেশ। কোনও ভাবেই ফেরার উপায় পাচ্ছিলেন না তিনি। সেই মুহূর্তে প্রচণ্ড খিদেও পেয়েছিলো তাঁর। তখনই তিনি অন্যরকম এক ফন্দি আঁটলেন। আর এখানেই দিলেন নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
জোমাটো অ্যাপ থেকে আশেপাশের একটি রেস্তোরাঁর খোঁজ করেন ওবেশ। সামনেই ধোসা বান্দি নামে একটা রেস্টুরেন্ট দেখতেও পেয়ে যান তিনি। সেখান থেকে ডিম ধোসা অর্ডার করেন ওবেশ। যখন ওই ডেলিভারি বয় তাঁর বাড়িতে খাবার পৌছনোর জন্য রেস্তোরাঁ থেকে রওনা হয় তখন খাবারের সঙ্গে নিজেও তাঁর সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তাব রাখেন ওবেশ। আর সেই প্রস্তাব মেনেও নেন ওই জোমাটো বয়। শেষে খাবারের সঙ্গে ক্রেতারও ডেলিভারি দিয়ে আসে সেই ডেলিভারি বয়। পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র পাঁচতারা রেটিং দেওয়ার অনুরোধ করেন ওবেশকে। সেই কথা রেখেছেন ওবেশও। পাঁচ তারা রেটিং দিতে একটুও কার্পণ্য করেননি তিনি। আর করবেনই বা কী করে, খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধির জোড়ে নিজেও পৌঁছে গিয়েছেন বাড়িতে। এই ঘটনার উল্লেখের পর সোশ্যাল সাইটে ওই যুবকের প্রশংসাও করেছে অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা। সোশ্যাল মিডিয়ায় জোমাটো লিখেছে, আধুনিক সমস্যাকে আধুনিক পদ্ধতিতেই সমাধান করা দরকার।