বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে আবারও আকাশে ডাকোটা যুদ্ধবিমান, সৌজন্যে রাজীব চন্দ্রশেখর

বিমান বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই ডাকোটা যুদ্ধ বিমানের নতুন রূপকে স্বাগত জানাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।

 

প্রয়াগরাজে ৯১তম ভারতীয় বিমান বাহিনী দিবস উদযাপনে নজর কাড়বে ঐতিহাসিক ডাকোটা যুদ্ধ বিমান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, পরশুরাম ডাকোটা ডিসি-৩ যুদ্ধবিমানকে স্বাগত জানাবে ঐতিহাসিক শহর প্রয়াগরাজ। সেখানেই বিমান বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই ডাকোটা যুদ্ধ বিমানের নতুন রূপকে স্বাগত জানাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এই অনুষ্ঠানেই প্রদশন করা হবে ডাকোটা DC-3 VP 905। নতুন যুদ্ধ বিমানের নাম দেওয়া হয়েছে বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতারের নামানুসারে পরশুরাম। ভারতের ইতিহাসে এই বিমানের গুরুত্ব অনেকে। এই যুদ্ধ বিমান ১৯৪৭০৪৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল।

৪ মে ২০১৮ সালে ডাকোটা ডাকোটা DC-3 কে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান বাহিনীর স্টেশন হিন্দানে আইএএফ এর ভিনটেজ স্কোয়াড্রনে স্বাগত জানান হয়। সেখানেই গর্বের সঙ্গে নম্বর দেোয়া হয় VP 905। এই বিমানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের আত্মিক যোগ রয়েছে। কারণ তাঁর বাবা এম কে চন্দ্রশেখরের অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ভারতীয় বিমান বাহিনীর ডাকোটা বিমানের পাইলট ছিলেন।

Latest Videos

 

 

ডাকোটা ডিসি-৩ এর যাত্রা অসাধারণ কিছু নয়। এই অনন্য বিমান, ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটেন থেকে আনা হয়েছিল ডাকোটা যুদ্ধ বিমান। এটি আবারও নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। ডাকোটা বহরের অবসর গ্রহণের পর এই বিমানগুলির মধ্যে শেষটি পুনরুদ্ধার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। ২০১০ সালের মধ্যে স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি হয়েছিল। ২০১১ সালে রাজীব চন্দ্রশেখর আয়ারল্যান্ডে বিক্রির জন্য ডাকোটা বিমানটি কিনে নিয়েছিলেন। তারপরই বিমান বাহিনীর হাতে তুলে দেন সেটি সংরক্ষণের জন্য।

আইএএফকে এই ডাকোটা বিমান উপহার দেওয়ার যাত্রা তার চ্যালেঞ্জ ছাড়া ছিল না। প্রাথমিকভাবে প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হয়েছিল। চন্দ্রশেখরের নিজের খরচে ডাকোটা উপহার দেওয়ার প্রস্তাব তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যাইহোক, বিজেপি সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকরের নেতৃত্বে এই প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত পাশ করে ছিলেন। তারপরই আইকনিক বিমানটির সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করেছিল।

ডাকোটা DC-3 ভারতীয় বিমান বাহিনীর কাছে গুনি বার্ড নামে পরিচিত। এটি ছিল আইএএফ-এর প্রথম দিকের প্রধান পরিবহনকারী বিমান। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাশ্মীর যুদ্ধ ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে এই বিমান বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। IAF এর ভিনটেজ স্কোয়াড্রনে এই বিমানটির পুনরুদ্ধার এবং অন্তর্ভুক্তি এর স্থায়ী উত্তরাধিকারের প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে।

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

Rekha Gupta: নারী দিবসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রেখা গুপ্তা, দেখুন কী বললেন
অ্যাকশনে দিল্লি পুলিশ, অবৈধ বাংলাদেশীদের খোঁজে ঘরে ঘরে তল্লাশি | Delhi News | Bangladeshi Migrant
'৩০ সেকেন্ডে যাদবপুর দখল করছিল মদন, এখন নিজের এলাকা দখল হয়ে যাচ্ছে', চরম কটাক্ষ অর্জুন সিংয়ের
IND vs NZ Final : দুবাইয়ের ফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ড : শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে দুই দল | CT 2025 Final
জলের জন্য হাহাকার! ৭০ বিঘা চাষ নষ্টের আশঙ্কায় বিক্ষোভ, স্যালো মালিককে ঘিরে তুমুল ধস্তাধস্তি