লাখ লাখ পঙ্গপাল এবার এগোচ্ছে দেশের রাজধানী আক্রমণে, শত্রু বিনাশে ময়দানে নামল ড্রোন

Published : May 28, 2020, 09:22 AM ISTUpdated : May 28, 2020, 09:27 AM IST
লাখ লাখ পঙ্গপাল এবার এগোচ্ছে  দেশের রাজধানী আক্রমণে,  শত্রু বিনাশে ময়দানে নামল ড্রোন

সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাস ও আর্থিক মন্দায় কাহিল দেশ এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের ঘুম উড়িয়েছে পঙ্গপাল বাহিনী পঙ্গপালের হানায় দিশেহারা ইতিমধ্যে দেশের ৭ রাজ্য গত ২৭ বছরের মধ্যে এত ভয়াবহ পঙ্গপাল হানা হয়নি এদেশে

পঙ্গপাল, ছোট এই পতঙ্গই এখন দেশের কৃষকদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ সহ দেশের ৭টি রাজ্য এখন কাঁপছে পঙ্গপাল বাহিনীর হানায়। পশ্চিম ও মধ্য ভারতের একের পর এক গ্রাম ও শহরে হানা দিয়েছে তারা। রক্ষে পাচ্ছে না বিঘের পর বিঘে ফসলের জমি। এই পঙ্গপাল বাহিনীর মোকাবিলা করতে গিয়ে নাজেহাল প্রশাসন। এরমধ্যেই সরকারের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে পঙ্গপালের একটি দল। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ হয়ে তারা রওনা দিয়েছে দেশের রাজধানী দখলে। দিল্লির যাওয়ার পথে সবুজ শষ্য, গাছগাছালি যা পাচ্ছে তাই খেয়ে চলেছে এই পতঙ্গ বাহিনী। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই পঙ্গপালের দল অনেক বড়, সংখ্যায় অনেক। ফলে করোনায় নাজেহাল দিল্লিবাসীর সম্মুখে এখন উপস্থিত আরও এক বড় বিপদ। কারণ, দেশের রাজধানী ও সংলগ্ন অঞ্চলের সমস্ত সবুজ গাছগাছালি খেয়ে ফেলবে এই রাক্ষুসে পতঙ্গের দল। 

আরও পড়ুন: উত্তর ভারতকে ছাড়খাড় করে ঝাড়খণ্ড অবদি পৌঁছল পঙ্গপাল বাহিনী, বাংলাতেও এবার হানার আশঙ্কা

পঙ্গপালের একটি দল ৩৫,০০০ মানুষের এক বছরের খাবার সাবাড় করে দিতে পারে কয়েক মুহূর্তে। এই পোকাকে মারতে তাই এবার ড্রোনের ব্যবহার শুরু করল কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক। পঙ্গপাল বাহিনীকে বিনাশ করতে ইতিমধ্যে রাজস্থানের জয়পুরের ছোমু তহসিলের সামোদ গ্রামে ড্রোনের ব্যবহারও শুরু করেছে প্রশাসন। এই প্রথম দেশে ড্রোনের সাহায্যে কীটনাশক স্প্রে করে পঙ্গপাল মারা হচ্ছে। 

 

 

পাক সীমান্ত দিয়ে ঢোকা এই পঙ্গপাল বাহিনী ইতিমধ্যে রাজস্থান, পঞ্জাব, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ আর উত্তরপ্রদেশের চাষের জমির সর্বনাশ করেছে। রাজস্থানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসল নষ্ট করেছে এই পঙ্গপালের দল।  এরই মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের সাবধানবাণী প্রশাসনের ঘুম আরও কেড়ে নিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে,  ভারত—পাক সীমান্তে সামনের মাসেই আট হাজার কোটি পঙ্গপালের জন্ম হতে পারে। সেই পঙ্গপালের দল আবার নতুন করে ভারতে হানা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: তাণ্ডব থেকে রেহাই পেল না মহারাষ্ট্রও, বিপদ বাড়িয়ে এবার আফ্রিকা থেকে ছুটে আসছে পঙ্গপাল বাহিনী

সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে এ দেশে পঙ্গপাল দেখা যায়। কিন্তু এ বছর কিছুটা আগেই হানা দিয়েছে তারা। এদেশে হানা দেওয়া দলটি মরু অঞ্চল থেকে এসেছে। এরাই সবচেয়ে বেশি ফসলের ক্ষতি করে বলে জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। ভারতে জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বর্ষার মরশুমের শুরু। পঙ্গপালের দল আবার স্যাতস্যাতে আবহাওয়া পেলে ডিম পাড়ে। ভারত—পাক সীমান্ত এলাকায় বর্ষার সময় আদ্রতা বেশি থাকে। ফলে ওই অঞ্চলে পঙ্গপালের দল বেশি সংখ্যায় ডিম পাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হিসেবে, ১৫ জুন নাগাদ প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হলেই পঙ্গপালের দল ওই এলাকায় ডিম পাড়তে শুরু করবে। 

রাজস্থান সরকারের কৃষি বিভাগের  সহ—সচিব এসপি সিং জানিয়েছেন, এখন দেশের যে  সমস্ত অঞ্চলগুলিতে পঙ্গপালের দল রয়েছে সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই হাজারে হাজারে পঙ্গপাল মারা পড়ছে। কিন্তু এবার এদেশে হানা দেওয়া পঙ্গপালের দল এতটাই বড় যে তাদের সঙ্গে এঁটে ওঠা সহজ হচ্ছে না। 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

Indigo Flights: যাত্রীদের ৬১০ কোটি টাকা ফেরত দিল ইন্ডিগো! কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র
জম্মু ও কাশ্মীরে বড় সাফল্য নিরাপত্তারক্ষীদের, ডোডা জেলায় সন্ধান অস্ত্রভাণ্ডারের