পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনের সঙ্গে চলমান অশান্তির মধেই এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আইটিবিপি-কে নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাধ্যমে রাস্তা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।
ভারত-চিন সীমান্তে (India-Chia Border) আবারও নতুন করে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত। সীমান্ত সুরক্ষার জন্য এবার ভারত তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বা ITBP নিজেদের একটি বিশেষ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেই রাস্তা নির্মাণের কাজে লাগাবে। আগে থেকেই এই বিভাগ ছিল। কিন্তু এই বিভাগ আগে স্বতন্ত্রভাবে কোনও রাস্তা নির্মাণ করেনি। এই বিভাগের অধীনেই তৈরি হবে বিশেষ রাস্তা আর ফুট ট্র্যাক। মূলত ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার রাস্তা তৈরির ওপর জের দিচ্ছে সেনা বাহিনীর এই বিভাগ।
পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনের সঙ্গে চলমান অশান্তির মধেই এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আইটিবিপি-কে নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাধ্যমে রাস্তা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারত-চিন সীমান্তের সড়ক প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বের অধীনে আইটিবিপি ৩২টি রাস্তার মধ্যে চারটি ও দুটি ১৮ ফুট ট্র্যাক নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। এই প্রকল্প খুবই চ্যালেঞ্জের।
Tripura Violence: ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে 'একজোট' বাম ও কংগ্রেস, UAPA ধারায় মামলার তীব্র বিরোধিতা
সূত্রের খবর এক থেকে ২ কিলোমিটারের এই রাস্তাগুলি হিমালয়ের আইটিবিপি-র সীমান্ত পোস্টগুলির একটির সঙ্গে অন্যটির যোগাযোগ স্থাপন করতে সহযোগিতা করবে। লাদাখের ৩৪৮৮ কিলোমিটার লম্বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চিনের সঙ্গে এই ট্র্যাকগুলি ব্যবহার করা। অরুণাচল প্রদেশেও এজাতীয় রাস্তা তৈরি করা হবে।
আইটিবিপির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সদস্যরা পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ করবে। তারপর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিক ও রাজমিস্ত্রিদের সমন্বয়ে একটি স্থলবাহিনী নিয়োগ করে কাজ শুরু করবে। পুরনো দিনের রীতি অনুযায়ী এই অঞ্চলের রাস্তা নির্মাণ ও প্রকল্পগুলির দায়িত্বে থাকে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন, সেন্ট্রাল ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টসহ একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা। তবে আইটিবিপি-র এই নতুন বিভাগ পরিকল্পনার কাজ দ্রুত করতে সহযোগিতা করবে। কারণ অতি-উচ্চ এলাকায় সড়ক নির্মাণের জন্য শ্রমিক পাওয়া খুবই কঠিন। তাই যে কোনও ধরনের কাজই সময় লাগে অনেক বেশি। কিন্তু আইটিবিপি- নিজস্ব ব্যবস্থাপনা থাকলে প্রকল্প বাস্তাবায়িত হবে সময় অল্প লাগবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
viral video ছোট থেকেই কোভিড সচেতন শিশু, ক্ষুদের কাণ্ড দেখলে মন জুড়িয়ে যাবে আপনারও
কেন্দ্রীয় সরকারের এক অধস্তন কর্মী জানিয়েছেন চিনের সঙ্গে চলমান সমস্যার করণে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় এজাতীয় রাস্তার খুবই জরুরি। কারণ রেশন, সৈন্য পরিবহণ ও অন্যান্য রসদ সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠান যাবে এই রাস্তাগুলি দিয়েছে। তবে এজাতীয় রাস্তা নির্মাণের কাজে প্রথম ব্যবহার করা হচ্ছে আইটিবিপির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে।
বর্তমানে সরকার এজাতীয় প্রকল্পের করে ইন্দো-চিন বর্ডার রোডস। এই সংস্থা দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে। সংস্থাটি কয়েকটি রাস্তা ও ফুট ট্র্যাক তৈরি করবে। ২০০৫ সালে এই সংস্থার সূচনা করা হয়েছিল। তারপর থেকে এপর্যন্ত বেশ কয়েকটি রাস্তা, হেলিপ্যাড, সৈন্য ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী গত বছর নভেম্বর পর্যন্ত চিন সীমান্তে প্রায় ৫৩৮.৫০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছে।