পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সমস্যা মিটবে? টানা ২ দিনের ম্যারাথন সামরিক বৈঠক সেনা কর্তাদের

Published : Aug 15, 2023, 09:42 PM IST
China India Flag

সংক্ষিপ্ত

বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে পশ্চিম সেক্টরের এলএসি বরাবর অবিশিষ্ট সমস্যাগুলির সমাধানের বিষয়ে উভয় পক্ষের একটি ইতিবাচক , গঠনমূলত ও গভীর আলোচনা হয়েছে। 

এবার কি ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মিটে যাবে? সেই প্রশ্নই বারবার উঠছে। সূত্রের খবর পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় সমস্যা মেটাতে ভারত ও চিন দুই দেশ টানা দুই দিন ধরে বৈঠক করেছে। বৈঠকটি ছিল সামরিক পর্যায়ের। দুই দেশের সামরিক বৈঠকের এক দিন পরেই যৌথ বিবৃতি দিতে এই কথা জানান হয়েছে। তাতেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ধীরে ধীরে গলতে পারে লাদাখের বরফ। কারণ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সমস্যাগুলি বাকি রয়েছে সেগুলি দ্রুত সমাধান করার বিষয় দুই দেশই সম্মত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম সেক্টরের এলএসি বরাবর অবিশিষ্ট সমস্যাগুলির সমাধানের বিষয়ে উভয় পক্ষের একটি ইতিবাচক , গঠনমূলত ও গভীর আলোচনা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে নেতৃত্বের প্রদত্ত নির্দেশের সঙ্গে পূর্ণ সঙ্গতি রেখেই দুই দেশের সেনাকর্তারা খোলামেলা আর দূরদর্শী উপায়ে সমস্যা সমাধানে মত বিনিময় করেছে।

ভারত-চীন কর্পস কমান্ডার-পর্যায়ের ১৯তম রাউন্ডের বৈঠকটি হয়েছিল ১৩-১৪ অগাস্ট। অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের ঠিক এক দিন আগে। ভারতের চুশুর-মোল্ডো সীমান্টে মিটিং পয়েন্টে বৈঠক হয়েছিস। ভারত-চীন কর্পস কমান্ডার-পর্যায়ের প্রথম রাউন্ডে এমন দীর্ঘসময় ধরে বৈঠক হয়েছিল। তারপর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার টানা দুই দিন ধরে বৈঠক হল।

বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'দুই দেশই দ্রুত অবশিষ্ট সমস্যাগুলি সমাধান করতে ও সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মধ্যে সংলাপ ও আলোচনার গতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। ' তবে অন্তবর্তী সময় উভয় পক্ষ সীমান্ত এলাকায় শান্তি আর প্রশান্তি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। ভারচ ও চিনের সেনারা পূর্ব লাদাখের সংঘর্ষ এলাকায় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুখোমুখি অবস্থান করেছে। কিছু কিছু জায়গায় উত্তেজনা করেছে। কিন্তু সূত্রের খবর এখনও প্যাংগন লেক এলাকায় উত্তেজনা বজায় রয়েছে। আরও বেশ কিছু পোস্টে ভারত আর চিনা সেনাদের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

পূর্ব লাদাখ সীমান্ত এতটাই উত্তেজনা প্রবণ ছিল যে গালওয়ান সংঘর্ষের পরে সেনাদের এয়ারলিফ্ট করা হয়েছিল। সম্প্রতি সেনার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর চিনের মোকাবিলা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৬৮ হাজার সেনাকে এয়ারলিফ্ট করে পাঠান হয়েছিল। দ্রুততার সঙ্গে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণে রেখায় পাঠান হয়েছিল ৯০টি ট্যাঙ্ক। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রের এমনই তথ্য সামনে এসেছে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরই যুদ্ধবিমানের কটের স্কোয়াড্রম সেখানে স্থাপন করা হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে Su-30 MKI এবং জাগুয়ার যুদ্ধবিমান। ১৫ জুন ২০২০ সালে গালওয়াল দেখেছিল ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

PREV
click me!

Recommended Stories

২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি ২% DA বৃদ্ধি সরকারি কর্মীদের? বড় ঘোষণা করতে পারে এই সরকার
জেনে নিন ১৩ ডিসেম্বর আপনার শহরে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কত