সমুদ্রের গভীর রহস্যের মোড়া স্তরের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন। প্রথমে যদিও তাঁরা বুঝতে পারেনি কী রয়েছে। কিন্তু বিস্তর পরীক্ষার পরে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছে ভারত মহাসাগরে ভারতের সীমানার মধ্যেই রয়েছে বিশাল হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড স্তর।
হাইড্রোথার্মাল কী
হাইড্রোথার্মাল বলতে গরম জলের সঞ্চালনের ফলে ফাটল এবং গহ্বরে খনিজ পদার্থের সঞ্চয়কে বোঝায় । বিজ্ঞানীদের কথায় এর মধ্যে যেমন খনিজ পদার্থ থাকে তেমনই থাকে পোখরাজ বা পান্নার মত মূল্যবান রত্ন।
হাইড্রোথার্মাল ক্ষেত্র কীভাবে তৈরি হয়?
পৃথিবীতে এমন জায়গা যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেট দূরে সরে যায় বা একে অপরের দিকে চলে যায়, সেক্ষেত্রে ভিতরের লাভা এবং সমুদ্রের ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে তৈরি হয় হাইড্রোথার্মাল সালফাইড ক্ষেত্র।
কোথায় রয়েছে?
দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের মধ্য ও দক্ষিণ পশ্চিম ভারতীয় রিজের ৪৫০০ মিটার গভীরে এই ক্ষেত্রটির অবস্থান।
কৃতিত্ব কার?
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসান টেকনোলজির তৈরি ওসান মিনারেল এক্সপ্লোরার (ওএমই ৬০০০) নামে পরিচিত অটোনোমাস আন্ডারওয়াটার ভেহিকেল (এইউভি) ব্যবহার করে, ডঃ এন আর রমেশের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল হাইড্রোথার্মাল ভেন্টের ছবি সংগ্রহ করেছে।
উদ্যোক্তা
অভিযানটি ভারতের বৃহত্তর গভীর মহাসাগর মিশনের অংশ। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসান টেকনোলজি (এনআইওটি) এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওসান রিসার্চ (এনসিপিওআর)-এর একদল বিজ্ঞানী গভীর-সমুদ্রে অনুসন্ধান করে এই সম্ভার পেয়েছেন।
বিজ্ঞানীদের দাবি
প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর বিজ্ঞানীদের দাবি এই হাইড্রোথার্মাল ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের খণিজ পাওয়া যেতে পারে। এটি আগে কখনও দেখা যায়নি বলেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
ভারতের সমস্যা
তবে হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড ক্ষেত্রে খনন করে ধাতু বা খণিজের সন্ধান করার মত পরিকাঠামো ভারতের নেই। সাহায্য নিতে হতে পারে অন্য দেশের। পোল্যান্ড, রাশিয়া, ব্রিটেনের এজাতীয় প্রযুক্তি রয়েছে।
সমুদ্র অভিযান
২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে সমুদ্র অভিযান চালাবে ভারতে। সমুদ্রের ৬ কিলোমিটার নীচে নেমে গবেষণা করবে ভারত।