সরকারি যাবতীয় কাজকর্মের জন্য এবার ফ্রান্সকে অনুসরণ করতে চলেছে ভারত। সরকারী কর্মচারীদের সরকারীক্ষেত্রে যাবতীয় কাজকর্ম করার জন্যএবার একটা নিজস্ব চ্যাট অ্যাপলিকেশন তৈরি করার পরিকল্পনা করছে ভারত। এই অ্যাপলিকেশনটি সরকারিক্ষেত্রে যাবতীয় কথোপথন চালানোর জন্য ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মাধ্য়মে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কেবলমাত্র হোয়াটসঅ্যাপই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দেশীয় স্তরে ভারতের একেবারে নিজস্ব কমিউনিকেশন অ্যাপ, ই-মেল গড়ে তোলার জন্য চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এই কমিউনিকেশন অ্যাপ-এর মাধ্যমে সরকারী সকল কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে বার্তালাপ চালাতে পারবেন।
এমন পদক্ষেপ নেওয়ার হিসাবে, বিদেশি সংস্থার ওপর নির্ভরশীলতা দূর করাই প্রধান উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে ভারতের মধ্যে চলতে থাকা বাণিজ্যিক সংঘর্ষের জেরেই কেন্দ্রের তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুন তারিখ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ভারতকে বাণিজ্যিক ছাড় দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এরপরই ভারতের পক্ষ থেকে ২৮টি মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরপ করে ভারত। প্রসঙ্গত সাম্প্রতিককালে বিশেষত ভারতও চিনের ক্ষেত্রে কয়েক কোটি ডলারের শুল্ক ছাড় বন্ধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বৈদেশিক সংস্থার উপর নির্ভরশীলতা কম করতে দেশীয় স্তরে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে এই কমিউনিকেশন অ্যাপ তৈরির জন্য পরিকল্পনা তুঙ্গে। আর এই পরিকল্পনা রূপায়িত হলে বৈদেশিক সংস্থার তৈরি চ্যাট অ্যাপ-এর ওপর যে কেন্দ্রের নির্ভরশীলতা কমবে একথা বলাই বাহুল্য।