ভারত-জাপান বন্ধুত্ব ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় প্রতিপক্ষের চাপ বাড়াবে, কিশিদার সঙ্গে বৈঠেকর পর বললেন মোদী

ভারত ও জাপান দুটি দেশই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ইন্দো প্যাসিফিক এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার জোর দেয় তারা। কিশিদার সঙ্গে আলোচনার পর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

দুই প্রধানমন্ত্রী মূলত চিনের ক্রমবর্ধমান উত্থানের মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্য়ালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় অন্বেষমের পাশাপাশি সামরিক শক্তি ও সামরিক হার্ডওয়্যারের উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন।

আলোতনায় সময় মোদী কিশিদাকে জানিয়েছিলেন যে ভারত ও জাপানের মধ্যে অত্যান্ত শক্তিশালী সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করে একত্রিত করা যেতে পারে। তাতে দুই দেশেরই সুবিধে হবে। প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে চায় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভারতের সভাপতিত্বের জি-২০ ও জি-৭ বৈঠক হবে জাপানের সভাপতিত্বে। ভারত যেমন জাপানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তেমনই জাপানও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

কিশিদা ২৭ ঘণ্টা ভারত সফরে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন মে মাসে হিরোসিমাতে জি-৭ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ভারত সরকার সেই আমন্ত্রণ স্বীকার করেছে।

আলোচনার ফাঁকেই মুম্বই আহমেদাবাদ হাই-স্পিড রেলের জন্য ৩০০ বিলিয়ন ইয়েন (ভারতীয় বিসেবে ১৮০০০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জাপানি ঋণের চতুর্থ ধাপের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর কার্যালয় থেকে এই বৈঠেকের পর একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব শুধু দুই দেশের নয় ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় শাস্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করবে। দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আরও অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে পর্যালোচনা করেছে।

ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যেই জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই ভারত সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মোদী বলেন, কিশিদার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রয়ুক্তি সহযোগিতা , বাণিজ্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

কিশিদা বলেছিলেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে টোকিওর অর্থনৈতিক সহযোগিতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি কেবন ভারতকেই উন্নত করবে না। জাপানকেও উন্নয়নে সহযোগিতা করবে ও দুই দেশের মধ্যে আর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করবে।

বিদেশ সচিব বলেছেন, মোদী কিশিদাকে স্পষ্ট করে বলেছেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ ও বিদেশী সরসারি বিনিয়োগের কথা আসলে ভারত দুটি ক্ষেত্র সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দেয়। কোয়াত্রা বলেন, জাপানা কোম্পানিগুলিকে শুধুমাত্র আমন্ত্রণ জানান হয় না, ভারতে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপহার হিসেবে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন একটি ছোট্ট সূক্ষ্ম কাঠের কারুকাজ করা বাক্স। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানান হয়েছে কর্ণাটকের শিল্পিদের তৈরি চন্দনকাঠের বৌদ্ধ মূর্তি ও বোধিবৃক্ষ রয়েছে। হায়দরাবাদ হাউসে দুই নেতা দেখা করেন। দুই নেতাই দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন।