বিশ্বগুরু হওয়ার প্রথম শর্ত বেদ আর সংস্কৃতের জ্ঞানের প্রসার: মোহন ভাগবত

বিশ্বগুরু হতে গেলে ভারতকে বেদ আর সংস্কৃত জ্ঞানের ওপর জোর দিতে হবে, বললেন মোহন ভাগবত । তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এদিয়ে যাচ্ছে দেশ। তবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংস্কৃতের প্রয়োজন রয়েছে।

 

ভারতকে 'বিশ্বগুরু' হওয়ার জন্য বেদের পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি সংস্কৃতের প্রাচীন ভাষাকে লালন করতে হবে। রবিবার সরবকান্তাকে বলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বসেছেন, ভারতীয় সংস্কৃতি গোঁড়া নয়। সময়ের সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতিতে পরিবর্তন হয়েছে। কারণ আমাদের সংস্কৃতি কখনই 'কী খাবেন আর কী খাবেন না' -তা বলা ছিল না।

ভারত বেদের মূল্যবোধের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুসরণ করে চলেছে। মোহন ভাগবত মেদেটি গ্রামে শ্রী ভগবান যাগবল্ক্য বেদত্ত্বজ্ঞান যোগাশ্রম ট্রাস্ট আয়োজিত 'বেদ সংস্কৃত জ্ঞান গৌরব সমরম্ভ' অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন বর্তমান ভারতকে আরও বড় হওয়ার জন্য কিন্তু আমেরিকা , চিন , রাশিয়ার মত বিদেশী শক্তির মত হতে হবে না। কারণ ভারতীয়রা সেই শক্তির অধিকারী। তিনি বলেন, 'আমাদের এমন একটি দেশ হতে হবে যেটি আজ বিশ্বকে জর্জরিত সমস্যার উত্তর দিতে শেখাবে। আমাদের এমন একটি দেশে তৈরি করতে হবে যেটি সঠিক আচরণের মাধ্যমে বিশ্বকে শান্তি, প্রেম ও সমৃদ্ধির পথ দেখাবে।'

Latest Videos

মোহন ভাগবত আরও বলেন, ভারত এমন একটি দেশ যা ধর্ম প্রচারে বিশ্বাস করে। সবাইকে একত্রিত করে বিশ্ব গুরু হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, 'জয় মানেই ধর্ম বিজয়।'তাই বেদ বা দেব বিজ্ঞান ও সংস্কৃত জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন সংস্কৃতে সব জ্ঞান রয়েছে। তাই সংস্কৃতের প্রভাব থাকা জরুরি। তিনি বলেন ৪০ শতাংস সংস্কৃত শিখতে হবে। ভাগবত আরও বলেন বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে সংস্কৃত ও সঙ্গীতের জ্ঞান থাকলে বিজ্ঞান আর গণিতের অনেক গুলি ধারনা অত্যান্ত সহজ হয়ে যায়।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধে ভারতের অবস্থানকে স্বাগচ জানিয়েছে আরএসএস প্রধান বলেন, উভয় দেশই ভারতে তাদের পাশে চায়। চতবে ভারত নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দুই পক্ষের সঙ্গেই সমান সম্পর্ক রেখে চলছে। দুই দেশকেই ভারত যুদ্ধ বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আজকের ভারত বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলিকে টক্কর দিচ্ছএ। যা একটা সময় ভাবাই যেত না। তিনি আরও বলেন, শ্রীলঙ্কা একটা সময় চিন আর পাকিস্তানকে বন্ধু বলে দাবি করে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিল। কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ার সময়ই ভারত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছিল। কারণ ভারতে ধর্মই এটা যে এই দেশ কারও থেকে সুবিধে নেয় না। 'আমাদের পারস্পরিক অস্তিত্বের জন্য একে অপরের সুবিধে নিই, কিন্তু এটি প্রেমের বিনিময় ও দর কষাকষি নয়।'

তিনি আরও বলেন ,দেশের দায়িত্ব পালনের জন্য এমন একটি সংস্কৃতির প্রয়োজন যা বিশ্বের ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ধর্ম গোঁড়া নয়। এটি এমন এমন কিছু যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করা যায়। আমাদের সংস্কৃতি আনাদের শেখায় - এমন কোনও খাবার খেতে নেই যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

Share this article
click me!

Latest Videos

জেলের ভিতর কতটা কষ্ট দেওয়া হচ্ছে চিন্ময় প্রভুকে? খোলসা করে সব বললেন Suvendu Adhikari
আমরা হিন্দুরা কী বানের জলে ভেসে এসেছি? মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে যা বললেন Agnimitra Paul
দেখে নিন Uorfi Javed-এর মাঝ আকাশে ভয়ানক স্টান্ট! #shorts #shortsvideo #shortsfeed #shortsviral
ভর সন্ধ্যায় এ কী হয়ে গেল Nadia-র Shantipur-এ! দেখলে আপনিও আঁতকে উঠবেন | Nadia News Today
‘Hindu-দের কষ্টের সময় Mamata Banerjee-র চোখে ন্যাবা হয়ে যায়’ মমতাকে চরম তুলোধোনা Dilip Ghosh-এর