অরুণাচল নিয়ে চিনের গা-জোয়ারির কড়া জবাব ভারতের, ১১টি স্থানের নাম পরিবর্তন বেজিং-এর

চিনের নয়া উদ্যোগ অরুণচালপ্রদেশ দখল করার। এবার ১১টি স্থানের নামকরণ করল চিন। তিন ভাষাতে তা প্রকাশ করে। কেন্দ্রীয় সরকার তীব্র বিরোধিতা করেছে।

 

Web Desk - ANB | Published : Apr 4, 2023 10:07 AM IST

লাদাখের পর এবার চিনের গা-জোয়ারি অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে। যদিও এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার অরুণাচলপ্রদেশের দিনে কুনজর দিয়েছিল চিন। তবে এবার শি জিংপিং-এর নেতৃত্বে রীতিমত মাত্র ছাড়াচ্ছে বেজিং। রবিবার অরুণাচলপ্রদেশের ১১টি স্থানের নাম বদল করে তা চিনা, তিব্বতি, পিনয়িং - এই তিন ভাষায় প্রকাশ করেছে। যদিও ভারত চিনের এই উদ্যোদের তীব্র বিরোধিতা করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্যঅঙ্গ। এই নাম পরিবর্তন বাস্তবতাকে বদলে দিতে পারে না।

চিনের উদ্যোগ

চিন অরুণাচলপ্রদেশের ১১টি স্থানের নম বদল করে দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দুটি সমতল এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বত শৃঙ্গ, দুটি নদী। চিনের গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট তেমনই বলা হয়েছে। এটি অরুণাচলের বিষয়ে তৃতীয় নাম পরিবর্তনের সূচি। চিনের নাগরিক বিষয়ক মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে এই তথ্য দিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে চিন ১৫টি এলাকার নাম বদল করেছিল। অরুণাচলের দখল নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই চিন আমাদের এই রাজ্যকে জাংনান বলে ডাকে। যার অর্থ তিব্বতের দক্ষিণ অংশ।

শুধু নাম পরিবর্তনই নয়, অরুণাচলের দখল নেওয়ার জন্যস একাধিক পদক্ষেপ করেছে জিংপিং সরকার। ২০২১ সালে সিকিমের কাছে একটি এলাকা দুই দেশের সেনার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। তারপর ২০২২ সালে ডিসেম্বর অরুণাচলের তাঁওয়াং সেক্টরের কাছে চিনা সৈন্য এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মোতায়েন ছিল। সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিল। এর আগে ডোকলাম সংঘর্ষের মত ঘটনাও ঘটেছে।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য

চিনে এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি অরুণাচল প্রদেশের ১১টি স্থানের নামকরণ নিয়ে চিনের নীতি পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে। তিনি বলেথেন, 'আমরা এই ধরনের রিপোর্ট দেখেছি। এই প্রথমবার নয়, যে চিন এই চেষ্টা করছে। ভারত সরকার চিনের এই উদ্যোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।' তিনি আরও বলেথেন, অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, অবিচ্ছেদ্য অংশ। আগে যেমন ছিল এখনও তেমনই রয়েছে। চিনের নয়া নামকরণের উদ্যোগ এই বাস্তবতাকে পরিবর্তন করে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

 

কেন্দ্রীয় সরকার বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও প্রশান্তি থাকলে তবেই চিনের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকবে। না হলে দুই দেশের পক্ষে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। কারণ এখনও লাদাখের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

আরও পড়ুনঃ

রিষড়ার হিংসা নিয়ে রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল আদালত, শুভেন্দুকেও হলফনামা দিতে নির্দেশ

আর্থিক সংকট মোকাবিলায় ভারতের পথে পাকিস্তান, পেট্রোল-ডিজেল নিয়ে মোদী সরকারের নীতি অনুসরণ

প্রেমে বাধা! মাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করল ১৪ বছরের মেয়ে ও তার প্রেমিক

 

Share this article
click me!