Defence News: পাকিস্তান-চিনের ঘুম ছোটাতে তৈরি ভারত, সফল উৎক্ষেপ আরও একটি হাইপারসোনিক মিসাইল

Published : Nov 17, 2024, 11:09 AM IST
hypersonic missile

সংক্ষিপ্ত

রাজনাথ সিং সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে লিখিছেন, 'এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং এই উল্লেখযোগ্য অর্জন আমাদের দেশকে এই ধরনের সমালোচনামূলক এবং উন্নত সামরিক প্রযুক্তির ক্ষমতা সম্পন্ন বাছাই করা দেশগুলির গোষ্ঠীতে রেখেছে।' 

প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আবারও বড় সাফল্যের মুখ দেখল ভারত। ভারতের মাটি থেকে সফল উৎক্ষেপন হল দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। পরীক্ষামূলক এই উৎক্ষেপণের পরই দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র দেশের প্রতিরক্ষা শক্তিকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ১৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব সহজেই অতিক্রম করবে। সঙ্গে চাপিয়ে দেওয়া যাবে বড় ধরনেরক পেলোড। ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও শনিবার ওড়িশার উপকূল থেকে সফলভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সফল উৎক্ষেপণের একটি ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।

রাজনাথ সিং সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে লিখিছেন, 'এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং এই উল্লেখযোগ্য অর্জন আমাদের দেশকে এই ধরনের সমালোচনামূলক এবং উন্নত সামরিক প্রযুক্তির ক্ষমতা সম্পন্ন বাছাই করা দেশগুলির গোষ্ঠীতে রেখেছে।'

 

 

ডিআরডিও জানিয়েছে এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি একাধিক ডোমেন জুড়ে বিভিন্ন রেঞ্জ সিস্টেম দিয়ে ট্র্যাক করা হয়েছিল। ডাউন -রেঞ্জ শিপ স্টেশনগুলি থেকে প্রাপ্ত ফাইট ডেটা বলছে এটি এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি হায়দ্রাবাদের ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম মিসাইল কমপ্লেক্সের গবেষণাগার দ্বারা, অন্যান্য ডিআরডিও পরীক্ষাগার এবং শিল্প অংশীদারদের সহযোগিতায় দেশীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে। ডিআরডিওর সিনিয়র বিজ্ঞানী এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে ফ্লাইট ট্রায়ালটি পরিচালিত হয়েছিল।

হাইপারসোনিক মিসাইলের গুরুত্ব:

হাইপারসোনিক মিসাইল অত্যান্ত দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র। এটি শব্দের থেকে পাঁচ গুণ বেশি জোরে যায়। এটির পরিধি সাধারণ ৬১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। গতি পরিবর্তন করতে পারে। এই মিসাইল আটকানো খুবই কঠিন।

হাইপারসোনিক মিলাইল দুই রকম-

হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল এবং হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। হাইপারসোনিক গ্লাইড ভেহিকেল- একটি রকেট বুস্টার ব্যবহার করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মত চালু করা হয়। একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছানোর পর, HGV বুস্টার থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায়, বাধা এড়াতে উড়ানের কৌশলে।

হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলগুলি তাদের ফ্লাইট জুড়ে হাইপারসনিক গতি বজায় রাখতে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন ব্যবহার করে, কম উচ্চতায় উড়ে যায় এবং কৌশলের অধিকারী হয়। হাইপারসোনিক মিসাইল তৈরিতে ভারত রীতিমত দক্ষতা অর্জন করেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

জম্মু ও কাশ্মীরে বড় সাফল্য নিরাপত্তারক্ষীদের, ডোডা জেলায় সন্ধান অস্ত্রভাণ্ডারের
গোয়ার নাইট ক্লাবে আগুনে পুড়ে মৃত ২৫, গ্রেফতার ৪, জানালেন প্রমোদ সাওয়ান্ত