রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ! ৮ নভেম্বর মস্কোয় পা রাখতে চলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও, ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের মধ্যে কোনও চিড় ধরেনি। এই অবস্থা চলাকালীন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সাক্ষাতে কী সুফল মেলে, সেইদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক মহল।

Web Desk - ANB | Published : Oct 28, 2022 5:04 AM IST

ইউক্রেনে সংঘাতের তীব্রতা বাড়াচ্ছে পুতিনের সেনা। পূর্ব ইউক্রেন থেকে প্রশাসক জেলেনস্কি বেশ কিছুটা আশার কথা শোনালেও পারমাণবিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাশিয়ার তরফ থেকে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হামলা। সংকটময় আবহে গোটা বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী মাসে রাশিয়া সফরে যেতে চলেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাজধানী মস্কোতে গিয়ে জয়শঙ্কর রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে সূত্রের খবর।

রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বৃহস্পতিবার মস্কোতে সাংবাদিকদের একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে ল্যাভরভ আগামী মাসে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বিবৃতির মধ্যেই তিনি উল্লেখ করেছেন যে, উক্ত বৈঠকে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা’ এবং ‘আন্তর্জাতিক বিষয়সূচি’ নিয়ে আলোচনা হবে। যদিও, এবিষয়ে এর চেয়ে বেশি কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি জাখারোভার তরফ থেকে। অন্যদিকে, ভারতের তরফে অবশ্য এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে হওয়া আসন্ন বৈঠক নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে, বৈঠক নিয়ে অবগত ভারতীয় উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা মনে করছেন যে, অতি সংক্ষিপ্ত একটি সফরে মস্কো পৌঁছতে পারেন জয়শঙ্কর। সেখানে সের্গেই ল্যাভরভ ছাড়াও রাশিয়ার আরও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন বিদেশমন্ত্রী।

লক্ষণীয় বিষয় হল, ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হবে না ভারত-রাশিয়ার শীর্ষ সম্মেলন। চলতি বছরে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই সম্মেলনটি। এদিকে এই বছরই সাংহাই কোঅপরেশন অর্গনাইজেশনের সম্মেলন চলাকালীন রাশিয়ার প্রধান ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী রুশ প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘এটা যুদ্ধের যুগ নয়’। 

আগামী মাসে আবার বালিতে আয়োজিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনেও আলোচনায় বসতে পারে মোদী এবং পুতিন। এই আবহে ভারত-রুশ দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে কোনও দেশই আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলেনি। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারতের এসেছিলেন পুতিন। এরপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রুশ বিদেশমন্ত্রী ল্যাভরভ এসেছিলেন রাজধানী দিল্লিতে। বরাবর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করে গেলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অবস্থান গ্রহণ করেনি ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারত বহুবার রাশিয়া বিরোধী ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের ‘ডার্টি বম্ব’ ইস্যুতে কথাও হয় রুশ প্রতিক্ষামন্ত্রী এবং রাজনাথ সিংয়ের। সেই সময় রাজনাথ বলেন, ‘কোনও পক্ষেরই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত হবে না।’ যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনে চলেছে বিশেষ ছাড়ে। অর্থাৎ উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও, ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের মধ্যে কোনও চিড় ধরেনি। এই অবস্থা চলাকালীন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সাক্ষাতে কী সুফল মেলে, সেইদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক মহল।

‘টিভি দেখছ?’ ফোনে জিজ্ঞেস করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, কীভাবে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের প্রিয় মানুষ?
তান্ত্রিক হতে চেয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে নৃশংস খুন!  কলকাতায় পাড়ি দিলেন হরিয়ানার যুবক
টুইটারের মালিকানা গেল ইলন মাস্কের হাতে, সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই হয়ে গেলেন পরাগ আগরওয়াল সহ বহু উচ্চপদস্থরা
অনুব্রত অথবা মানিক নন, একা পার্থকে নিয়েই কেন বিড়ম্বনায় তৃণমূল? দলের সিদ্ধান্ত জানালেন সৌগত রায়

Read more Articles on
Share this article
click me!