দেশের সবথেকে ক্ষুদ্রতম শিশু শিবন্যা, মা শোনালের জন্মের প্রতিকূলতার কাহিনি

মাত্র ৪০০ গ্রাম ওজন ছিল পুনের শিবন্য যখন জন্মগ্রহণ করেন। দেশের সবথেকে ক্ষুদ্র নবজাতক। একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এখনও শ্বাস নিচ্ছে শিশুটি।

 

Web Desk - ANB | Published : Jan 29, 2023 12:56 PM IST

গর্ভের সন্তান বাঁচবে কিনা দিন কয়েক আগে তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না মা। কিন্তু তারপরেও অনেক আশা নিয়ে পেটের সন্তানকে লালনপালন করে গিয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। আর বাকিটা ছেড়ে দিয়েছিলেন ঈশ্বরের ওপর। তাতেই আজ মা হতে পেরেছেন পুনের আইটি পেশাদার উজ্বলা। পাশাপাশি তাঁর সন্তানকে নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। কারণ দেশের সবথেকে ক্ষুদ্রতম শিশু তাঁর।

উজ্জ্বলার একটি কন্যাসন্তানের জন্মদেন। নাম শিবন্য। কিন্তু সেই সদ্যজাত কন্যা সন্তানের ওজন মাত্র ৪০০ গ্রাম। আর্থাৎ এক কিলোগ্রামেরও কম। সাধারণ জন্মের সময় শিশুদের আদর্শ ওজন হল ২.৫ কিলোগ্রাম থেকে ৪.৫ কিলোগ্রাম। আর নবজতকের দৈর্ঘ্য মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ এক ফুটেরও কম।

চিঞ্চওয়াড়ের একটি নার্সিংহোমে শিশু কন্যার জন্ম হয়। কিন্ত জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁক জেলার সূর্য মা ও চাইল্ড সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জন্মের পর থেকে শিশুকন্যার পথ কিন্তু কাঁটায় ভরা। স্বাস্থ্যের কারণে একাধিক হাডেল পার হতে হয়েছে নবজাতককে।

যাইহোক শিবন্যের মা গর্ভাস্ত অবস্থায় বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রসবে সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে সন্তান ধারনের মাত্র ২৪ সপ্তাহের মধ্যেই তিনি হাসপাতাল ভর্তি হন। ২৪ সপ্তাহেরই সন্তানের জন্ম । তারপর পুনের বৃহত্তম বেসররকারি হাসপাতাবে টানা ৯৪ দিন থাকা। অবশেষে ২কিলো ১৩ গ্রাম ওজন হয় । হাসপাতাল থেকে এতদিন পরে বাড়ি ফিরছে দেশের ক্ষুদ্রতম শিশু সন্তান।

উজ্বলা জানিয়েছেন, নিজের সন্তানকে প্রথম দেখার পরই তিনি আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ছিলেন। কারণ অকাল জন্মের পরেও তাঁর সন্তান চোখ মেলে তাকিয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন গর্ভাস্থ অবস্থায় তিনি ঝাঁসির রানি, মণিকর্ণিকা, ভগত সিং- এই সব সিনেমাগুলি দেখেছিলেন।

২১ মে শিবন্যার জন্ম হয়। প্রথম থেকেই তাকে দেখছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। প্রথম দিকে তাকে রাখা হয়েছিল আইসিইউতে। শিবন্যের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি ছিল চিকিৎসকদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ শিবন্য নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই জন্ম নেওয়ায় অঙ্গগুলির বিকশিত হওয়ার সময় পায়নি। শিবন্যের মা জানিয়েছেন মেয়েকে জন্মের পর থেকে এপর্যন্ত হাসপাতালের বিল হয়েছে ২১ লক্ষ টাকা। তবে মেয়েকে জীবন্ত ঘরে নিয়ে ফেরার কাছে এই খরচ অতি তুচ্ছ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Share this article
click me!