শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতারা নন, বিজ্ঞানীরাও ভারতকে তুলে ধরেছিলেন বিশ্বের মঞ্চে। সেই উদ্যোগেই আয়োজিত জে.সি. বোসের অবদানের উপর আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, ইন্টার-ইউনিভার্সিটি এক্সিলারেটর সেন্টার, দিল্লি এবং ইন্দ্রপ্রস্থ বিজ্ঞান ভারতী মন্ত্রকের সহায়তায় যৌথভাবে আয়োজিত হতে চলেছে 'জে.সি. বোসের অবদানের উপর আন্তর্জাতিক সম্মেলন: একজন সত্যাগ্রহী বিজ্ঞানী' । ৩০ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে সংস্কৃতি মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই সম্মেলন।
এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল একজন সত্যাগ্রহী বিজ্ঞানী হিসাবে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর ভূমিকাকে তুলে ধরা। তাঁর কাজের সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতা বোঝা, যে ধারণাগুলি তাঁকে একটি স্বনির্ভর ভারতের জন্য স্বপ্ন গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে এবং বিজ্ঞানে তাঁর বিশাল অবদান মনে করাচ্ছে।
ইন্দ্রপ্রস্থ বিজ্ঞান ভারতীর সেক্রেটারি, প্রফেসর রাজীব সিং এই সম্মেলনের বিষয়ে কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য, “এটি আশ্চর্যজনকভাবে নির্মিত একটি থিম্যাটিক কনফারেন্স যেখানে আমরা জগদীশ চন্দ্র বসুর সম্মানে ভারতের ২২ জনেরও বেশি বিশিষ্ট বিজ্ঞানীর বিষয়ে আলোচনা করব। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তাঁর অবদান তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ।”
ডক্টর অরবিন্দ সি রানাডে, নির্বাহী পরিচালক, INSA সম্মেলনের গুরুত্বটি আরও ভালোভাবে বোঝানোর জন্য তাঁর চিন্তাভাবনা যোগ করেছেন, তাঁর কথায়, “এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য জ্ঞানের একটি নির্দিষ্ট ফাঁক পূরণ করা, অর্থাৎ আমাদের সারাটা জীবন ধরে আমরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের তুলে ধরেছি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কাণ্ডারি হিসেবে। অথচ, আমরা বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং তাঁদের উদ্ভাবনগুলি মিস করে গেছি, যেগুলি ভারতকে একটি বৈশ্বিক মঞ্চ দিয়েছে। এই সম্মেলনের লক্ষ্য হল আরও বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বৃহত্তর পরিসরে আলোচনা করা এবং আমি আশা করি প্রত্যেকেই এটি থেকে উপকৃত হবেন।”
আরও পড়ুন-
কলকাতায় এসেই কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, পুরোহিতদের সঙ্গে করলেন বাক্যালাপও
ফিরহাদ বনাম মদন বাক্যবাণ, তৃণমূলের অন্দরের মতপার্থক্য শেষমেশ গিয়ে ঠেকল বিরিয়ানিতে
রেফার করে দেওয়ার দরুন কোনও রোগীর মৃত্যু হলে দায় ওই চিকিৎসককেই নিতে হবে: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়