লাদাখ কি ক্রমশ চিনের দখলে চলে যাচ্ছে? বেদখল হয়ে গিয়েছে ২৬টি পেট্রলিং পয়েন্ট!

ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'সেফ প্লে' কৌশলের কারণে মেষপালকদের চীন সীমান্তে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যার কারণে একটি বাফার জোন তৈরি হচ্ছে। ভারত পূর্ব লাদাখে ৬৫টি টহল পয়েন্টের মধ্যে ২৬টি হারিয়ে ফেলেছে।

Web Desk - ANB | Published : Jan 25, 2023 9:26 AM IST

পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে অচলাবস্থা চলছে। এখন একটি গবেষণা পত্রে প্রকাশ করা হয়েছে যে পূর্ব লাদাখে উপস্থিত ৬৫টি পেট্রলিং পয়েন্টের মধ্যে ২৬টি হারিয়ে গেছে। দ্য হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে বার্ষিক পুলিশ সম্মেলনে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই খবরে মোদী সরকারকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস দল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করে লিখেছেন যে চিনকে আপনার দেওয়া ক্লিন চিটের কারণে দেশের মানহানি হচ্ছে।

এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'সেফ প্লে' কৌশলের কারণে মেষপালকদের চীন সীমান্তে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যার কারণে একটি বাফার জোন তৈরি হচ্ছে। এই গবেষণাপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য হিন্দু তার সংবাদে লিখেছে যে ভারত পূর্ব লাদাখে ৬৫টি টহল পয়েন্টের মধ্যে ২৬টি হারিয়ে ফেলেছে। সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় লোকজন ও পশুপালকদের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব এলাকা এখন ভারতের নাগালের বাইরে।

সেনাবাহিনী মেষপালকদের বাধা দিচ্ছে

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে মেষপালকদের আটকাচ্ছে ভারতীয় সেনা। এ জন্য ফাঁকা জায়গায় চেকপোস্ট তৈরি করে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ এবং ১৬ মুক্ত করার জন্য সাম্প্রতিক চুক্তিতে, ভারত গোগরা পাহাড়, উত্তর তীর, প্যাংগং লেক এবং কাকজং এলাকায় জমি হারিয়েছে যেখানে ভারতীয় পশুপালকরা তাদের পশু নিয়ে যেত।

২০ থেকে ২২ জানুয়ারী ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো আয়োজিত ডিজিপি সম্মেলনে এই গবেষণাপত্রটি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। 'সীমানা প্রাচীর ছাড়া নিরাপত্তা সমস্যা' শিরোনামে সারাদেশে পুলিশ কর্মকর্তারা এরকম মোট ১৫টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব লাদাখে এলএসি-এর কাছে অন্তত ৩০টি পেট্রলিং পয়েন্ট রয়েছে যেগুলোতে ভারতীয় সেনারা আর টহল দিচ্ছে না। এই বিষয়ে জেনে রাখা ভালো যে ১৫ জুন, ২০২০-এ ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেক সেনা প্রাণ হারিয়েছিল।

Share this article
click me!