কংগ্রেস প্রার্থী সঞ্জয় শুক্লা, তার মনোনয়নপত্রে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে পশ্চিমবঙ্গে একটি ধর্ষণ মামলা এবং ছত্তিশগড়ে নথিভুক্ত আরেকটি মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগ করেছেন।
একের পর এক বিতর্ক বিজেপি প্রার্থী কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ঘিরে। মধ্যপ্রদেশে ইন্দোর-১ থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার সময় তিনি নিজের সম্বন্ধে পাঁচটি মামলার উল্লেখ করেছেন। এখানেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ইন্দোরের এক নম্বর বিধানসভা আসনে মুখোমুখি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও কংগ্রেস প্রার্থী সঞ্জয় শুক্লা। কংগ্রেস প্রার্থী সঞ্জয় শুক্লা, তার মনোনয়নপত্রে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে পশ্চিমবঙ্গে একটি ধর্ষণ মামলা এবং ছত্তিশগড়ে নথিভুক্ত আরেকটি মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগ করেছেন। এই বিষয়ে কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করলেও কমিশন আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে। এখন বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের মুখপাত্র চরণ সিং সাপ্রা বলেছেন যে বিজয়বর্গীয় অফিসারদের সাথে যোগসাজশ করছেন, তাই দুটি ফৌজদারি মামলার তথ্য না দেওয়া সত্ত্বেও অফিসাররা মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন। এখন আমরা এ বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করব। সাপরা বলেছেন যে বিজয়বর্গীয় নিজেই সুপ্রিম কোর্টে বাংলার আলিপুরের এক মহিলার দায়ের করা মামলাটিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
আরও পড়ুন- 'অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়গুলি প্যানেলের এক্তিয়ারের বাইরে', শুনানির আগে চিঠি দিয়ে দাবি মহুয়া মৈত্রের
আলিপুরের ধর্ষণের মামলা
উল্লেখ্য, ২০২০-তে আলিপুর নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। সেখানে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ করেন। FIR দায়ের করার আবেদন জানান। যদিও সেই আবেদন তখন খারিজ করে দেয় আলিপুর আদালত। পরে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই নির্যাতিতা। হাইকোর্ট আবার কৈলাসের বিরুদ্ধে FIR দায়েরের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশের পালটা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কৈলাস। দেশের শীর্ষ আদালত প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ খারিজ মামলাটি ফেরত পাঠাল আলিপুর আদালতে।
ছত্তিশগড়ের মামলা
এছাড়া ১৯৯৯ সাল থেকে ছত্তিশগড়ে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। দুটি মামলাই তার জানাজানি হলেও তিনি মনোনয়নপত্রে দুটি মামলার উল্লেখ করেননি। কংগ্রেসের দাবি নির্বাচন কমিশন যখন সুরেন্দ্র পাটওয়া, রাহুল লোধি এবং অজয় সিং-এর মনোনয়ন স্থগিত রেখেছে, তখন বিজয়বর্গীয়র মনোনয়ন কীভাবে অনুমোদিত হল? এতে বোঝা যায়, অফিসাররা বিজেপির চাপে কাজ করছেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন যে ১৯৯০ সাল থেকে আমি ছয়টি বিধানসভা নির্বাচন এবং মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আমি কিভাবে পালিয়ে যেতে পারি? আমরা সারা দেশে যাই। অনেক সময় রাজনৈতিক মামলা হয়। যদি কোন অনুপস্থিত তথ্য থাকে, আমরা তা সংশোধন করব। বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন যে কংগ্রেস সরাসরি নির্বাচনে জিততে পারে না, তাই তারা নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।