Karnataka beggar: 'এক টাকার ভিক্ষুক'এর মৃত্যু, শেষযাত্রায় সামিল হাজার হাজার মানুষ

নাম বাসপ্পা। কর্নাটকের হুভিনা হাদাগালি বাসস্ট্যান্ডে পরিচিত নাম ছিলেন তিনি। এলাকার পরিচিত মুখ। ভিক্ষে বৃত্তিতাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল। কারণ একটাই এক টাকার বেশি তিনি কখনই চাইতেন না। 

অনাথ ছিলেন তিনি। বাসস্ট্যাডের কাছে একটি ছোট্ট শেড- গত চার দশক ধরে সেটাই ছিল তাঁর বাড়ি। মানসিক সমস্যা ছিল। তবে পেটের টানে কর্নাটকের বাল্লারিতে  ভিক্ষেবৃত্তিকেই (Karnataka beggar) বেছে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কখনই এক টাকার বেশ তিনি কারও কাছ থেকে নিতেন না। সেই ভিক্ষুকই দিন দুই আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। কিন্তু তাঁরই শেষযাত্রায় ( funera) শত শত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। 

নাম বাসপ্পা। কর্নাটকের হুভিনা হাদাগালি বাসস্ট্যান্ডে পরিচিত নাম ছিলেন তিনি। এলাকার পরিচিত মুখ। ভিক্ষে বৃত্তিতাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল। কারণ একটাই এক টাকার বেশি তিনি কখনই চাইতেন না। কেউ দিলেও নিতেন না। বেশি টাকা দিলে এক টাকা নিয়ে বাকি টাকা ফেরত দিতেন। তবে তিনি কোথা থেকে এসেছেন তা কেউই জানত না। স্থানীয়দের কাছে তিনি ছিলেন লাকি চার্ম। ভিক্ষুকের বয়স ৪০-৪৫ হবে। স্থানীয়রা তাঁকে স্নেহ করত। অনুষ্ঠান হলে খাবার দিয়ে যেত। তাঁর পুনর্বাসনের জন্য স্থানীয়রা একাধিকবার চেষ্টা করেছিল। প্রশাসনও ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে শেড থেকে যেতে চাননি ভিক্ষুক। 

Latest Videos

Covid 19 Vaccine: 'টিকাতে দ্বিধাই সবথেকে বড় ঝুঁকি', কোভিড ১৯ নিয়ে উদ্বেগ সেরাম কর্তার

TMC: কেন্দ্রের অধ্যাদেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে গেলেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র

দিন কয়েক আগে একটি বাস ধাক্কা মারে বাসাপ্পাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানেই তিন দিনের চিকিৎসার পর তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে পড়তে প্রচুর মানুষ হাসপাতালে জড়ো হয়। ভিক্ষুকের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যান দোকানদার স্থানীয় ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা চাঁদা তুলে বাসাপ্পার শেষকৃত্যের আয়োজন করেন। স্থানীয়দের এক টাকার ভিক্ষুকের শেষযাত্রায় সামাল হয়েছিলেন প্রায় ৩ -৪ হাজার মানুষ। 

UAPA: ইউএপিএ নিয়ে প্রাক্তন আমলাদের চ্যালেঞ্জ, কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর থেকেই বাসাপ্পাকে তাঁর এলাকায় দেখা যায়নি। সেই সময় তাঁকে ভর্তি করা হয়ছিল হাসাপাতেল। কিন্তু বাসাপ্পাকে দেখতে না পেয়ে অনেকেই আতঙ্কিত হতে তাঁর খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। বাসাপ্পাকে আগে একাধিকবার পুলিশ জোর করে সরিয়ে দিতে চাইলেও স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দিয়েছে। 

বাসাপ্পা ছিল এলাকার বাসিন্দাদের পছন্দের। কারণ তাঁকে যখনই কেউ এক টাকা দিত তখনই তিনি তা হাসিমুখে গ্রহণ করতেন। পাশাপাশি সেই ব্যক্তিকে আশীর্বাদ করতেন। কোনও দিন কোনও মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। সকলের সঙ্গেই  হাসিমুখে কথা বলতেন। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি এলাকারই একজন সাধারণ বাসিন্দা ছিলেন। তেমনই মনে করত স্থানীয় বাসিন্দারা। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Nadia-এ ডাম্পিং গ্রউন্ড ঘিরে বিতর্ক! থানায় আটক বিজেপি বিধায়ক! দেখুন | Nadia News Today
Naihati-তে কার পাল্লা ভারী? ফল ঘোষণার আগে উত্তেজনা তুঙ্গে গোটা এলাকায় | Naihati By Election Results
'কয়লার ৭৫ ভাগ তৃণমূলের (TMC) পকেটে যায়' বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
Suvendu Adhikari Live: বিধানসভার বাইরে মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী, দেখুন সরাসরি
Guyana-র সরস্বতী বিদ্যা নিকেতন স্কুলে Narendra Modi, কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে