ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হতেই শুরু হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষার পালা।টাইমস নাও-এর এক্সিট পোল অনুসারে, কংগ্রেস দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ১১৩। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই ম্যাজিক ফিগারের গণ্ডি পার হতে গিয়েই ঘাম ঝরেছিল বিজেপি কংগ্রেস দুই রাজনৈতিক দলের। সংখ্যার খেলায় দুই দলই একে অপরকে টক্কর দেওয়ার মরিয়া প্রয়াস করেছিল। এবার কি হতে চলেছে, ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হতেই শুরু হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষার পালা। তবে বেশিরভাগ সমীক্ষাই কংগ্রেসকে এবার এগিয়ে রাখছে। অন্যদিকে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কিং মেকার হয়ে উঠতে পারে জনতা দল সেকুলার।
কর্ণাটকে সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১২ মে ২০১৮-এ। নির্বাচনে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হলেও কোনো দলই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপির ১০৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। কংগ্রেস ৭৮টি এবং জেডিএস ৩৭টি আসন পায়। একক বৃহত্তম দল হওয়ায়, বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা ১৭ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। তবে তিনি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি।
টাইমস নাও-এর এক্সিট পোল অনুসারে, কংগ্রেস দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। টাইমস নাও এক্সিট পোলে, কংগ্রেস ১০৬ থেকে ১২০টি আসন, বিজেপি ৭৮ থেকে ৯২টি আসন এবং জেডিএস ২০ থেকে ২৬টি আসন পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১১৩টি আসন প্রয়োজন।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩ এর ভোট বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হতে না হতেই সব এক্সিট পোলের ফলাফল এসেছে। কর্ণাটকে কার সরকার গঠিত হবে? সমস্ত নিউজ চ্যানেল এই বিষয়ে তাদের এক্সিট পোল সম্পন্ন করেছে। টাইমস নাও এক্সিট পোলের ফলাফল জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
কর্ণাটকে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেয়েছে?
টাইমস নাও-ইজিটি এক্সিট পোল অনুসারে, বিজেপি ৩৬.৭০ শতাংশ, কংগ্রেস ৪০.৯০ শতাংশ, জেডিএস ১৬.১০ শতাংশ এবং অন্যান্য ৬.৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
বোম্বে কর্ণাটক অঞ্চলে কয়টি আসন?
টাইমস নাও-ইজিটি এক্সিট পোল অনুসারে, বোম্বে কর্ণাটক অঞ্চলে কংগ্রেসকে ২৬ থেকে ২৯টি আসন, বিজেপিকে ২১-২৫টি এবং জেডিএসকে শূন্য দেওয়া হয়েছে।
বজরং বলি ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন?
এক্সিট পোল সমীক্ষা অনুসারে, কংগ্রেসের মূল ভোটারদের ৮৬ শতাংশ বলেছেন না, যখন মাত্র ১৪ শতাংশ এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হ্যাঁ৷
প্রচারে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রচেষ্টায় লাভবান হয়েছে কংগ্রেস?
সমীক্ষা করা কংগ্রেস ভোটারদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ বলেছেন 'হ্যাঁ', ২৪ শতাংশ বলেছেন 'না' এবং ৪০ শতাংশ বলেছেন 'বলতে পারি না'।
বিজেপির শক্তিশালী নেতাদের বিদ্রোহ থেকে কি লাভবান হবে কংগ্রেস?
৪৪% বলেছেন 'হ্যাঁ', ৩১% বলেছেন 'না' এবং ২৫% বলেছেন 'বলতে পারি না'
এই দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যে পরাজয় বিজেপির জন্য একটি ধাক্কা হতে পারে। যাইহোক, এটি লক্ষণীয় যে বিজেপি ২০১৮ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি এবং কংগ্রেস এবং জেডি(এস) একসাথে সরকার গঠন করেছিল। এমনকি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় সহ কর্ণাটকে বিজেপিকে হারের মুখে পড়তে হয়েছিল। বিরোধী বিধায়কদের দলত্যাগের পরে এটি কর্ণাটক এবং মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরে আসে।