২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় এবার রেকর্ড ৭৩.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। শনিবার সকালে শুরু হবে ভোট গণনা। জোর প্রস্তুতি রাজ্যজুড়ে।
রাত পোহালেই হাইভোল্টেজ কর্ণাটক ভোট গণনা শুরু। কিন্তু তার আগের দিন সকাল থেকেই তৎপর বিজেপি ও কংগ্রেস দুই প্রতিপক্ষ। কারণ সরকার গঠনে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল। বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গেছে কংগ্রেস আর বিজেপি দুই দলই মূল প্রতিপক্ষ। বুথ ফেরত সমীক্ষায় পূর্বাভাস কর্ণাটকে কিং মেকার হতে পারে জেডিএস। আর সেই কারণে দুই দলই এইচডি কুমারস্বামীকে গুরুত্ব দিচ্ছে। যাইহোক কংগ্রেস ও বিজেপি দুই রাজনৈতিক দলই দুই দলের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে। পাশাপাশি সরকার গঠনের কৌশল খুঁজতে শুরু করেছে।
বিজেপির গতিবিধি
নির্বাচনের আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই কথা বলেন লিঙ্গায়েত নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে। দলের অন্যান্য নেতারাও ছিলেন বৈঠকে। লিঙ্গায়েত নির্বাচন প্রার্থীদের গতিবিধি জানান চেষ্টা করেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। কারণ লিঙ্গায়েত ও ভোক্কালিগা ভোট এবার কর্ণাটক নির্বাচনে একটি বড় ফ্যাক্টর। পাশাপাশি বিজেপি নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বলে সূত্রের খবর। কারণ সরকার গঠনে নির্দল প্রার্থীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। বোমাই এখনও আত্মবিশ্বাসী বুথ ফেরত সমীক্ষার প্রভাব পড়বে না। বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। মোদী ফ্যাক্টর কর্ণাটকের ভোট বাক্সে কাজ করেছে বলেও মনে করছেন তিনি।
কংগ্রেসের গতিবিধি
ভোট গণনার আগের দিন দিনভরই রীতিমত সক্রিয় ছিল কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে এদিন একটি বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন রণদীপ সুরজেওয়ালা, ডিকে শিবকুমার, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর ও দলের রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতারা। তাঁরাও গণনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সূত্রের খবর নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও রাজ্য নেতৃত্ব দিল্লির নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া নিজের বাড়ি থেকেই দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অন্যডিকে শিবকুমার আশাবাদী কংগ্রেস ১৪১টি আসন পাবে। তাই সরকার গঠনে কোনও সমস্যা হবে না বলেও মনে করছেন তিনি।
২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় এবার রেকর্ড ৭৩.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা করছে দুই দলই । সূত্রের খবর তাই নবনির্বাচিত বিধায়কদের একত্রিত রাখারও পকিল্পনা নেওয়া হতে পারে। গত বিধানসভা নির্বাচনে কর্ণাটকই প্রথম দেখিয়েছিল রিসর্ট রাজনীতি। অন্যদিকে ভোট গণনা কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল থেকে। ৩৬টি কেন্দ্রে গণনার কাজ হবে। শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বেঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।