হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় রায় স্থগিত আদালতের, কংগ্রেসম্যান ডিকে শিবকুমার স্বস্তিতে

হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি মামালয় ডিকে শিবকুমারের দুটি আবেদনের ওপর রায় সংরক্ষণ করল আদালত। পাঁচ বছরে সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৬৯ কোটি টাকা।

 

Web Desk - ANB | Published : Apr 20, 2023 10:50 AM IST

অসামঞ্জ্যপূর্ণ বা হিসেব বহির্ভূত সম্পদ মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্ট কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারের আবেদনের ওপর রায় সংরক্ষণ করেছে। একটি নয় দুটি পিটিশনের ওপর রায় সংরক্ষণ করেছে। শিবকুমার দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিধানের অধীনে নথিভুক্ত মামলা ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই এর তদন্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েআদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সোমবার কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি কে নটরাজনের একক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।

সিবিআই-এর দাবি, শিবকুমারের সম্পদের মধ্যে ৭৪ কোটি টাকার কোনও হিসেব মেলেনি। আর সেই কারণে তাঁর মেয়ের ১৫০ কোটি টাকার সম্পদও খতিয়ে দেখা হবে। ২০১৩-২০১৮ সালের মধ্যে কংগ্রেস নেতার সম্পদ ৫৮৯ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগেই শিবকুমার সিবিআই তদন্তের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ পেয়েছিলেন। আর সেই স্থগিতাদেশ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়েছিল।

শুনানির সময় সিবিআইয়ের কৌসুলি যুক্তি দিয়েছিলেন যে শিবকুমারের তর্ক করার স্বাধীনতা নেই, যে কোন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত পরিচালনা করবে। উদাহরণ হিসেবে সিবিআই তাঁর এক আত্মীয়ের মামলার কথাও তুলে ধরেছিলেন। পাল্টা শিবকুমারের আইনজীবীর যুক্তি ছিল সংশ্লিষ্ট আইনজীবী একজন এইচএএল কর্মী। পাশাপাশি দুটির পরিস্থিতি এক নয়। উভয় পক্ষের আইনজীবী প্রথমে সিবিআই তগন্ত শুরুর করার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে কিনা তা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে।

সম্প্রতি কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কনকপুরা আসন থেকে মনোনয়ন দাখিল করেছেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৪১৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তিনি বসেছিলেন তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৪০ . ০৮ কোটি টাকা। যার অর্থৎ ডিকে-র সম্পত্তি এই পাঁচ বছরে বেড়েছে ৬৮.২৯ কোটি টাকা। হলফনামা অনুযায়ী ডিকে শিবকুমার ২৫১.৬৯ কোটি টাকা স্থাবর সম্পত্তির মালিক। যারমধ্যে হিন্দু অভিভক্ত পরিবার থেকে রয়েছে ৬.৭৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ২৭৩.৪২ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর।

ডিকে শিবকুমারের নিজে ২৪৪.৯৩ কোটি টাকার মালিক। যেখানে তাঁর স্ত্রী মালিক ২০.৩ কোটি টাকার। ছেলে আকাশ ১২.৯৯ কোটি টাকার মালিক। তাঁদের গোটা পরিবারের সম্পত্তি অনুমানিক ১.৪১৪ কোটি টাকা। ছেলের অধীনে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৬৬ কোটি টাকার।

ডিকে শিবকুমারের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণে ৯৭০ কোটি টাকা। যারমধ্যে স্ত্রী নামে রয়েছে ১১৩.৩৮ কোটি টাকা। ছেলের নামে রয়েছে ৫৪.৩৩ কোটি টাকা।

সোনাদানার হিসেবেও পিছিয়ে নেই ডিকে শিবকুমার। তাদের পরিবারের ২.১৮৪ কিলোগ্রাম সোনা রয়েছে। রুপোর পরিমাণ ১২.৬ কিলোগ্রাম। সোনার গয়নার পরিমাণ ১.০৬৬ কেজি। ৩২৪ গ্রাম হীরা রয়েছে। ডিকের নামে রয়েছে ২৪ গ্রাম রুবি। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৯৫ গ্রাম হিরে, ৮৭ গ্রাম রুপি। যৌথভাবে তাঁরা ২৬০০ কেজি সোনা আর ২০ কেজি রুপোর মালিক।

তাঁদের মেয়ের কাছে রয়েছে ১০ কেজি রুপো, ১ কেজি সোনা। ছেলের নামে সোনা রয়েছে ৬৭৫ গ্রাম।

কংগ্রেস ম্যান ডিকে শিবকুমার তাঁর বাার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১৪.২৪ কোটি টাকা। যেখানে স্ত্রীর মোট আয় ১.৯ কোটি টাকা। তবে কর্ণাটক হাইকোর্টে ডিকের বিরুদ্ধে অসম সম্পত্তির অভিযোগে মামলা রয়েছে। তবে একটি পিটিশনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। ২০২০ সালে শিবকুমারের বিরুদ্ধে একটি পুলিশি রিপোর্ট দায়ের করা হয়। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২০১৩- ১৮এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে।

আরও পড়ুনঃ

অসামঞ্জ্যপূর্ণ বা হিসেব বহির্ভূত সম্পদ মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্ট কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারের আবেদনের ওপর রায় সংরক্ষণ করেছে। একটি নয় দুটি পিটিশনের ওপর রায় সংরক্ষণ করেছে। শিবকুমার দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিধানের অধীনে নথিভুক্ত মামলা ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই এর তদন্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েআদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সোমবার কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি কে নটরাজনের একক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।

সিবিআই-এর দাবি, শিবকুমারের সম্পদের মধ্যে ৭৪ কোটি টাকার কোনও হিসেব মেলেনি। আর সেই কারণে তাঁর মেয়ের ১৫০ কোটি টাকার সম্পদও খতিয়ে দেখা হবে। ২০১৩-২০১৮ সালের মধ্যে কংগ্রেস নেতার সম্পদ ৫৮৯ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগেই শিবকুমার সিবিআই তদন্তের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ পেয়েছিলেন। আর সেই স্থগিতাদেশ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়েছিল।

শুনানির সময় সিবিআইয়ের কৌসুলি যুক্তি দিয়েছিলেন যে শিবকুমারের তর্ক করার স্বাধীনতা নেই, যে কোন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত পরিচালনা করবে। উদাহরণ হিসেবে সিবিআই তাঁর এক আত্মীয়ের মামলার কথাও তুলে ধরেছিলেন। পাল্টা শিবকুমারের আইনজীবীর যুক্তি ছিল সংশ্লিষ্ট আইনজীবী একজন এইচএএল কর্মী। পাশাপাশি দুটির পরিস্থিতি এক নয়। উভয় পক্ষের আইনজীবী প্রথমে সিবিআই তগন্ত শুরুর করার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে কিনা তা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে।

সম্প্রতি কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কনকপুরা আসন থেকে মনোনয়ন দাখিল করেছেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৪১৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তিনি বসেছিলেন তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৪০ . ০৮ কোটি টাকা। যার অর্থৎ ডিকে-র সম্পত্তি এই পাঁচ বছরে বেড়েছে ৬৮.২৯ কোটি টাকা। হলফনামা অনুযায়ী ডিকে শিবকুমার ২৫১.৬৯ কোটি টাকা স্থাবর সম্পত্তির মালিক। যারমধ্যে হিন্দু অভিভক্ত পরিবার থেকে রয়েছে ৬.৭৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ২৭৩.৪২ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর।

ডিকে শিবকুমারের নিজে ২৪৪.৯৩ কোটি টাকার মালিক। যেখানে তাঁর স্ত্রী মালিক ২০.৩ কোটি টাকার। ছেলে আকাশ ১২.৯৯ কোটি টাকার মালিক। তাঁদের গোটা পরিবারের সম্পত্তি অনুমানিক ১.৪১৪ কোটি টাকা। ছেলের অধীনে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৬৬ কোটি টাকার।

ডিকে শিবকুমারের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণে ৯৭০ কোটি টাকা। যারমধ্যে স্ত্রী নামে রয়েছে ১১৩.৩৮ কোটি টাকা। ছেলের নামে রয়েছে ৫৪.৩৩ কোটি টাকা।

সোনাদানার হিসেবেও পিছিয়ে নেই ডিকে শিবকুমার। তাদের পরিবারের ২.১৮৪ কিলোগ্রাম সোনা রয়েছে। রুপোর পরিমাণ ১২.৬ কিলোগ্রাম। সোনার গয়নার পরিমাণ ১.০৬৬ কেজি। ৩২৪ গ্রাম হীরা রয়েছে। ডিকের নামে রয়েছে ২৪ গ্রাম রুবি। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৯৫ গ্রাম হিরে, ৮৭ গ্রাম রুপি। যৌথভাবে তাঁরা ২৬০০ কেজি সোনা আর ২০ কেজি রুপোর মালিক।

তাঁদের মেয়ের কাছে রয়েছে ১০ কেজি রুপো, ১ কেজি সোনা। ছেলের নামে সোনা রয়েছে ৬৭৫ গ্রাম।

কংগ্রেস ম্যান ডিকে শিবকুমার তাঁর বাার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১৪.২৪ কোটি টাকা। যেখানে স্ত্রীর মোট আয় ১.৯ কোটি টাকা। তবে কর্ণাটক হাইকোর্টে ডিকের বিরুদ্ধে অসম সম্পত্তির অভিযোগে মামলা রয়েছে। তবে একটি পিটিশনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। ২০২০ সালে শিবকুমারের বিরুদ্ধে একটি পুলিশি রিপোর্ট দায়ের করা হয়। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২০১৩- ১৮এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে।

Share this article
click me!